নভেম্বর ১১-তে খুলে গেল ওয়ার্কমেটস আইপিও, লক্ষ্য ৬৯.৮৪ কোটি টাকা তোলা

কলকাতাকেন্দ্রিক ক্লাউড অ্যান্ড ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন কোম্পানি ওয়ার্কমেটস কোর2ক্লাউড সলিউশন লিমিটেডের ৬৯.৮৪ কোটি টাকার প্রাথমিক পাবলিক অফারিং অর্থাত আইপিও খুলে গেল নভেম্বর ১১ তারিখে। একেকটি ইকুইটি শেয়ারের দাম হবে ২০০ থেকে ২০৪ টাকা। অ্যাংকর বিড খুলবে নভেম্বর ১০। কোম্পানি ৩৪,২৩,৬০০ ইকুইটি শেয়ার ইস্যু করবে, যার মধ্যে থাকবে ২৯,০৮,৮০০ ইকুইটি শেয়ারের ফ্রেশ ইস্যু আর ৫,১৪,৮০০ ইকুইটি শেয়ার বিক্রির অফার। এই শেয়ারগুলি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হবে। এই ইস্যুর বুক রানিং লিড ম্যানেজার হল হরাইজন ম্যানেজমেন্ট।

সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ইস্যু থেকে যে টাকা উঠে আসবে, তা সিকিওর্ড ঋণগুলির প্রিপেমেন্ট বা রিপেমেন্টে, কোম্পানির কার্যকরী পুঁজির প্রয়োজনে এবং অন্যান্য সাধারণ কর্পোরেট প্রয়োজনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে ওয়ার্কমেটস। এটি একটি ক্লাউড অ্যান্ড ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন কোম্পানি, যা বিভিন্ন উদ্যোগের আধুনিকীকরণ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সেগুলির ডিজিটাল কোরকে বড় করায় একান্তভাবে নিবেদিত। মাত্র ছ বছরে ওয়ার্কমেটস একটি স্টার্টআপ থেকে সর্বোচ্চ স্তরের অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস পার্টনার হয়ে উঠেছে। এছাড়াও কোম্পানি উদ্ভাবন, AI, IoT, VR, and AR-এর মত উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির পরিষেবা জোগানোয় মনোনিবেশ করছে, যাতে ব্যবসাগুলির রূপান্তরে সাহায্য করা যায়।

Chittorgarh.com-এর অ্যানালিস্ট দিলীপ দাওদা এই আইপিও সম্পর্কে বললেন যে ওয়ার্কমেটস ক্লাউড অ্যান্ড ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন সংক্রান্ত পরিষেবার জন্য AWS পার্টনারের তকমা উপভোগ করে। তিনি ওয়েবসাইট এক পোস্টে বলেছেন ‘ক্রমবর্ধমান AI আর Gen AI উদ্যোগগুলোর ফলে কোম্পানি উজ্জ্বল সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আলোচ্য সময়কালে টপ লাইন আর বটম লাইন, দুই জায়গাতেই কোম্পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক আর্থিক তথ্যের ভিত্তিতে এই ইস্যুর দাম বেশ ভাল বলে মনে হচ্ছে। লগ্নিকারীরা মাঝারি মেয়াদ থেকে দীর্ঘ মেয়াদে লাভের জন্যে এই ইস্যু কিনতে পারেন।’

পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ওয়ার্কমেটস ক্লাউড ও ক্লাউডকেন্দ্রিক পরিষেবা জোগায়, যাতে কাজের ভারের মূল্যায়ন, নির্ঝঞ্ঝাট মাইগ্রেশন, আবেদন করার আধুনিকীকরণ এবং AWS-এর সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে। কোম্পানির সমাধানগুলি ব্যবসাগুলিকে ক্লাউডে চলে যেতে এবং ডিজিটাল রূপান্তর ও জেনারেটিভ AI-এর সম্পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সাহায্য করে। কোম্পানি প্রায় ৩০০+ ক্লায়েন্টকে আধুনিকীকরণ, সুরক্ষা এবং নিজেদের ডিজিটাল কাজকর্মকে বড় করতে সাহায্য করেছে এবং গত ছ বছরে ৬০০+ সফল প্রকল্প সরবরাহ করেছে।

কোম্পানির RHP অনুযায়ী, ওয়ার্কমেটসের বিভিন্ন ভার্টিকালে গ্রাহকের বিস্তৃত সম্ভার রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সেগমেন্ট হল IT/ITES (৩৭.৪১%) আর FSI/BFSI (৩০.৪০%)। অন্য মুখ্য ভার্টিকালগুলোর মধ্যে আছে নির্মাণ, ই-কমার্স, মিডিয়া (৪.৫৮%) এবং অন্যান্য সেক্টরের মিশ্রণ।

একইসঙ্গে সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, অগাস্ট ৩১, ২০২৫ (ননঅ্যানুয়ালাইজড) তারিখের হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির রাজস্ব হল ৫৯.৩৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে মোট মুনাফা ছিল ২০.২৮ কোটি টাকা, অর্থাৎ ৩৪.১৬ শতাংশের মোট মার্জিন। এই কোম্পানি অগাস্টের ৩১ তারিখে ১০.৬১ কোটি টাকার EBITDA-তে ছিল, পাশাপাশি কর দেওয়ার পর মুনাফা (PAT) ছিল ৭.২১ কোটি টাকা। ওই একই সময়কালে ওয়ার্কমেটসের রিটার্ন অন ইকুইটি (ROE) আর রিটার্ন অন ক্যাপিটাল এমপ্লয়েড (ROCE) ছিল যথাক্রমে ২৭.২৪% আর ৩০.১৪%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + seven =