বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে ১৬ জুলাই, রবিবার, এমনটাই খবর আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। এরপর এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ওড়িশা অভিমুখে অগ্রসর হবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর-সহ সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এই দুইয়ের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস শনি ও রবিবার। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। এদিকে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থানের বিকানির নাড়নাউল, গোয়ালিয়ার সাতনা ডালটনগঞ্জ হয়ে শ্রীনিকেতনের উপর দিয়ে উপর দিয়ে পূর্ব দিকে গিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরাম পর্যন্ত বিস্তৃত। তারই জেরে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা সব জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এও জানানো হয়েছে, রবিবার উপকূলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তবে উত্তরবঙ্গে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি পাঁচ জেলায় হালকা মাঝারি বৃষ্টি, বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে ওপরের পাঁচ জেলাতে হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে এই পাঁচ জেলাতে। দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলাতে। রবিবার থেকে আরও কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে উত্তরবঙ্গে এই ভারী বৃষ্টির জেরে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। বাড়ে নদীর জলস্তর। তিস্তা তোর্সা জলঢাকা নদীতে জল বিপদসীমা ছাড়াতে পারে। নিচু এলাকার ফসলের ক্ষতি। বিশেষ করে হর্টিকালচারের বেশি ক্ষতি হতে পারে। পাহাড়ি রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমতে পারে। ধস নেমে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে।

এদিকে কলকাতায় শনিবার ছিল মূলত মেঘলা আকাশ। জলীয় বাষ্প থাকায় রয়েছে অস্বস্তি। তবে শনিবারথেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওযা দপ্তর। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। শনিবার কলকাতা শহরে সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। এদিকে শুক্রবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৮ থেকে ৯০ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৭ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ২.২ মিলিমিটার। অন্যান্য রাজ্য সম্পর্কে আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে মৌসম ভবন থেকে তাতে রবিবার ও সোমবার উত্তরাখণ্ডে ফের প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। ওড়িশা ও বিহারে ভারী বৃষ্টি হবে বলেই জানানো হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগঢ়. রাজস্থান-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মেঘালয়-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি আগামী পাঁচ দিন। কঙ্কন ও গোয়াতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। কর্ণাটক, কেরল ও মাহেতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 14 =