শনিবারের ভারী বৃষ্টিতে জেরবার দিল্লি। এদিন লাগাতার বৃষ্টি চলে রাজধানীতে। একটানা বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দিল্লির অধিকাংশ এলাকা।টানা বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত জনজীবন চলতি বর্ষার মরশুমে এটাই সবথেকে বেশি বর্ষণমুখর দিন দিল্লিতে, জানিয়েছে মৌসম ভবন। একইসঙ্গে মৌসম ভবনের তরফ থেকে শনিবার দিল্লির জন্য কমলা সতর্কতা এবং রবিবারের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, দিল্লির আমুনানগর, কুরুক্ষেত্র, কার্নাল, অসন্ধ, সাফিদন, পানিপথ, গোহানা, সনিপথ, রোহতক, ভিওয়ানি, চরখি দাদরি, কোসালি, সোহানা, রেওয়ারি-সহ একাধিক অঞ্চলে বৃষ্টিপাত চলবে রবিবারও। বৃষ্টির ফলে দিল্লির তাপমাত্রাও কমে গিয়েছে এক ধাক্কায়। তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মরশুমের গড় তাপমাত্রার তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। এদিকে দিল্লির বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৯৬ শতাংশ। ভারী বর্ষণের সুপ্রভাব পড়েছে দূষণের ক্ষেত্রেও। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই পৌঁছেছে সন্তোষজনক মাত্রায়।
তবে ভয়ঙ্কর হচ্ছে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি৷ লাগাতার বাড়তে শুরু করেছে যমুনার জলস্তর৷ যমুনার বিভিন্ন প্রান্তে জলস্তর বিপদসীমা দিয়ে বইছে৷ রাজঘাটে জলপ্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে যেন নদী বয়ে যাচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ এদিকে আইটিও জলমগ্ন। পুসা রোড, প্রগতি ময়দান, মথুরা রোড-সহ একাধিক অংশেও জল জমে যায়। জলমগ্ন বিধানসভা এলাকাও। পিডব্লিউডি-র কাছে দিল্লির বহু অংশ থেকে অভিযোগ আসতে থাকে জল জমে থাকার।
এদিকে দিল্লি প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব ও উত্তর পূর্ব দিল্লি বন্যা কবলিত এবং সব থেকে বেশি প্রভাবিত৷ বন্যা থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ সামগ্রীর বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷ বৃষ্টির জেরে দিল্লির জলস্তরে সামান্য পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ জলস্তর ২০৮.৪৮ মিচার পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ তবে দিল্লিবাসীর কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিণত হয়েছে যমুনা ৷ এদিকে শনিবার সকাল সকাল আইটিও-র রাস্তা ডুবে যাওয়ার গাড়ি চলাচলের বেহাল হয়েছে ৷ এরফলে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ হয়েছে৷ সব মিলিয়ে জন জীবন বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত ৷