গুজরাত হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাহুল গান্ধি। প্রসঙ্গত, ‘মোদি পদবি’ নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বছরই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল গুজরাতের আদালত। তার জেরে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে রাহুলকে। এর বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টে আবেদনও করেছিলেন রাহুল। তবে সেখান থেকে কোনও স্বস্তি মেলেনি রাহুলের। কারণ, গুজরাত হাইকোর্ট তাঁর শাস্তির মেয়াদের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। ফলে ৭ জুলাই গুজরাত হাইকোর্টের রায়ে যথেষ্টই হতাশ হতে হয় কংগ্রেসের এই নেতাকে। তবে এবার শীর্ষ আদালত রাহুলের শাস্তির বিষয়ে কী রায় দেয় সে দিকেই এখন নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় ‘ মোদি পদবি’ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধি। তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল গুজরাতের সুরাটে। সেই মামলাতেই অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাহুলকে। তাঁকে ২ বছরের জেলের সাজাও শুনিয়েছিল আদালত। এর পর ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ সাংসদ পদ খারিজ হয় কংগ্রেস নেতার। ২০১৯ সালে কেরলের ওয়ানাড থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। এরপর এই সাজার বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। যদিও সেখানেও স্বস্তি মেলেনি। এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার দেশের শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নাড়লেন রাহুল।