পশ্চিমাঞ্চলকে হারিয়ে দলীপ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল দক্ষিণাঞ্চল। ফাইনালে দুটো ইনিংস মিলিয়ে ১০৫ রান করেছেন দক্ষিণাঞ্চেলর অধিনায়ক হনুমা বিহারি। অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিটা রাজ্য থেকে সেরা প্লেয়ারদের বেছে তৈরি করা হয় দল। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের দায়িত্ব গিয়ে পড়েছিল তাঁর উপরেই, তিনি সেটাকে বজায় রেখেছেন। দলকে টেনেছেন ও জিতিয়েওছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি রান করেছেন। তাঁর পারফরম্যান্সের ফলে জাতীয় নির্বাচকরা তাঁর দিকে তাকাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দলীপ ট্রফি জিতে তিনি বললেন, ‘অধিনায়কত্ব উপভোগ করি।’ একইসঙ্গে হনুমা ও জানান,‘যখন এই ধরনের দল থাকে তখন অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। যখন এই ধরনের বোলিং হয়, তখন অধিনায়কের উপর থেকে চাপ কমে যায়। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রতি ওভারে তিন রানের বেশি দেব না ওদের। বোলাররা সেটাই করেছে। ফলে আমার কাজ সহজ হয়ে গেছে।’ এতদিন অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে খেললেন হনুমা বিহারি এবার খেলবেন মধ্যপ্রদেশের হয়ে। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্যই তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে দল পরিবর্তন করেছেন।
এদিন হনুমা বিহারির হাতে দলীপ ট্রফিতে ছিল তিন কর্নাটকের পেসার। ভিদওয়াথ কাভেরাপ্পা, বিজয়কুমার বৈশখ ও বাসুকি কৌশিক। ম্যাচে পশ্চিমাঞ্চলের ২০টার মধ্যে ১৬টা উইকেট নিয়েছেন এই তিনজন। হনুমা বিহারি বলেন,‘তিন কর্নাটকের পেসার থাকায় সুবিধা হয়েছে ওরা পিচটা ভালো চেনে। তবে খাতায় কলমে পশ্চিমাঞ্চল এগিয়ে ছিল। কিন্তু মেধা আমাদের বেশি ছিল।’ তবে একটা সময় পশ্চিমাঞ্চলের প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল ম্যাচটা বের করে নিচ্ছিল। গুজরাটের এই ওপেনার প্রথম ইনিংসে ১১ আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৯৩ রান। তিনি টিকে গেলে সমস্যায় পড়ত দক্ষিণাঞ্চল। তবে হনুমা বিহারি দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে সরফরাজ খানের উইকেট হারানোটাকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন।
তবে এত ভাল পারফর্মান্সের পরও নির্বাচকদের নজরে কেন পড়ছেন না হনুমা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর ভারতীয় ক্রিকেটে হনুমা বিহারির নাম উঠলে সমর্থকদের মনে ভেসে উঠবে বর্ডার গাভাসকার ট্রফিতে পায়ে চোট নিয়ে তাঁর ম্যাচ বাঁচানোর ইনিংস। তাঁর ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জুটি অজি পেসের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে হারা ম্যাচ থেকে দলকে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর জাতীয় দল থেকে কার্যত উধাও হনুমা বিহারি। জায়গা ভরাট করা ছাড়া আর নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি তিনি, সুযোগও পাননি সেভাবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাক লাগালেও নির্বাচকরা তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন। এবার ফের তিনি নিজেকে প্রমাণ করলেন। সৌজন্যে দলীপ ট্রফি।