পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেলের নিশানায় রাজ্য় নির্বাচন কমিশন

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম হিংসা নিয়ে সরব রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র। এই হিংসার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘আমি পাওয়ারে আছি, পাওয়ারে থাকব। এই জন্যই বাংলায় হিংসা হচ্ছে। কিছুলোক ভোট করতে দিচ্ছে না।’ একইসঙ্গে তিনি আঙুল তোলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দিকেও। স্পষ্ট জানান, ‘এই হিংসার দায় কোনওভাবেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন এড়িয়ে যেতে পারে না।’ এরই রেশ ধরে বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি জানান, ‘যদি বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের খামতি না থাকত, তাহলে এত রক্তক্ষয় হত না। উনি সমস্তটা যদি যথাযথভাবে আয়োজন করতেন, এমনটা হত না।’ এই প্রসঙ্গে জয়ন্ত মিত্র এও জানান, ‘মীরা পাণ্ডে ভুল করেননি। একটা সুস্থ পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য যা করার করেছিলেন। বাধা পেয়ে কোর্টে এসেছিলেন। এটা করা উচিত। এই নির্বাচনে এটা হলে এত রক্তক্ষয় হত না।’ একইসঙ্গে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘সিআরপিএফ অনেক আগে আনা উচিত ছিল। আগে কি এত মারপিট হত?’

ইদানিং বিভিন্ন সময়ে আদালত ও আদালতের বিচারপতিদের নিয়ে নানারকম মন্তব্য করেন রাজনৈতিক নেতারা। এই প্রবণতা নিয়েও বলেন জয়ন্ত মিত্র। তাঁর কথায়, যদি কোনও রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকে তার জন্য উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। জনসমক্ষে গিয়ে চেঁচামেচি করাটা উচিত বলে মনে হয় না। এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘এটা আদালত অবমাননা। রায় নিয়ে সমমত না থাকলে একমাত্র পথ উচ্চ আদালতে যাওয়া। কোর্ট থেকে কোর্টের বিচার করা হবে। পলিটিকাল প্ল্যাটফর্ম থেকে তো কোর্টের বিচার হয় না। সেটা যদি করার চেষ্টা করে কনটেম্পট অব কোর্ট হয়। অবশ্যই আদালত অবমাননা হয়। চাইলে আদালত এর জন্য ব্যবস্থাও নিতে পারে। আমার মতে নেওয়াও উচিত।’ সঙ্গে এও জানান, এরকম ঘটনার ক্ষেত্রে দু’টো জিনিস হতে পারে। ইন্টারফেয়ারেন্স অব দ্য কোর্ট অব জাস্টিস হলে কোর্ট সুয়োমোটো নোটিস দিতে পারে। অথবা কেউ আদালতকে বলতে পারে, এটা বলা হয়েছে, পদক্ষেপ করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =