বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী দিনে আদালতের নির্দেশ ছাড়া বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়েরও করা হয় মামলা। এই এফআইআর দায়েরের আবেদন করেন সুমন সিং নামে এক আইনজীবী আর্জি জানান, এফআইআর দায়ের করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে যেন নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার এই মামলার শুনানিতে পূর্ববর্তী নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন,’কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। সেই নির্দেশকে দেখিয়ে ১০ বছর পর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনও অপরাধের অভিযোগ ওঠে তখনও কি এফআইআর করতে পারবে না পুলিশ?’ সঙ্গে বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এ প্রশ্নও তোলেন,’যদি কোনও নির্দেশ অন্তঃসারশূন্য হয়, তাহলে কি সেই নির্দেশকে বাতিল করা বা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না?’
এদিকে সম্প্রতি দলীয় কর্মীদের এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে দেখে বেরিয়ে বিচারব্যবস্থার একাংশকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীকে সব মামলায় রক্ষাকবচ দেওযার জন্য নাম উল্লেখ করে কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতিকে আক্রমণ করেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এও বলেন,’সব মামলায় শুভেন্দু অধিকারী ও নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতারা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছে। কোনও কোনও বিচারপতি বলেছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে না। সেই কারণে অভিযোগ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ। কিছু কিছু লোকের কারণে বিচারব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। বাকি কারও কাজ নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই।’ এদিকে অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়ে সব মহলে শোনা গিয়েছে নিন্দার সুর। এমনকী হাইকোর্টে এই মামলার আবেদনও হয়েছে। যদিও নাম নাা করে অভিষেকের মন্তব্যের নিন্দা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি অধ্যাপকদের শ্রদ্ধা করি। যেসব রাজনৈতিক দলের নেতারা আদালত ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন, তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা করি না। সুপ্রিমো বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কখনও কোনও বিরূপ মন্তব্য করেন না।’ এদিকে আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার আদালতে ফের এই মামলার শুনানি।