পঞ্চায়েত ভোটের গণনা পরবর্তী সময়ে একের পর এক অভিযোগ। আর তাতে মামলা দায়ের হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। একই ঘটনার অভিযোগ উঠল হাওড়ার পাঁচলা থেকেও। এবার এই ঘটনায় বিডিও-র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়েরও হল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, পাঁচলা ব্লকের ভোটগ্রহণকেন্দ্র ও গণনাকেন্দ্র থেকে চুরি হয়ে যায় সিসিটিভি ক্যামেরা। আর তারই জেরে দেদার ছাপ্পা করে জিতেছে শাসক শিবির। মামলাকারীর দাবি,ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিডিওর বিরুদ্ধে যেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। অভিযোগ শুনে বিচারপতি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট বিডিওর থেকে রিপোর্ট তলব করেন।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারী একজন কংগ্রেস কর্মী। তাঁর দাবি, বিরোধী দলের এজেন্টদের দিয়ে জোর করে লগবুকে সই করিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও। পাঁচলায় পঞ্চায়েত ভোটের দিন ও গণনার দিন কার্যত চূড়ান্ত অনৈতিক কাজ হয়েছে বলেই দাবি মামলাকারীর। অভিযোগ শুনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট বিডিও-র থেকে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই বুথে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরিও আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ ও ব্যালট পেপার সংরক্ষণেরও নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ। আগামী ১০ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, পাঁচলায় পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অশান্তি-গোলমালের অভিযোগ সব বিরোধী দলগুলিই তুলে এসেছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন কিছুদিন আগেই ছুটে গিয়েছিলেন পাঁচলার বিডিও অফিসে। বিডিও-র দেখা না পেয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে জয়েন্ট বিডিও-র হাতে কালো গোলাপ ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দিয়ে এসেছিলেন।