‘মন কী বাত’ অনেক হয়েছে, সংসদে এবার মণিপুরের কথা বলুন, মোদিকে টুইট ডেরেকের

মণিপুরের হিংসা এবং অশান্তি নিয়ে একেবারেই নীরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মুখে কুলুপ দেওয়ায় অনেক আগে থেকেই প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী শিবির থেকে। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদ অধিবেশন। তার আগে তৃণমূলের সংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন মণিপুরে পা রেখেই প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান,’এবার মণিপুর নিয়ে কথা না বললে সংসদের বাদল অধিবেশন অচল করে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বুধবারই ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে দুদিনের মণিপুর সফরে গিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে মণিপুরে পৌঁছানোর পরেই একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ডেরেক লেখেন,’এবার সংসদের দুটি কক্ষেই এসে কথা বলুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘মন কী বাত’ অনেক হয়েছে। এবার ‘মণিপুর কী বাত’-এর সময়। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী দূরেই থাকুন। নয়ত পুরো বাদল অধিবেশন আমরা অচল করে দেব।’এদিন ইম্ফলে নেমেই চূড়াচাঁদপুরে যান সাংসদের ওই প্রতিনিধি দলটি। সুস্মিতা দেব জানান, সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে বৃহস্পতিবার মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে চাইছেন তাঁরা। পাশাপাশি সুস্মিতা দেব এও জানান, তাঁরা সেখানে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার পক্ষে। তার জন্য সেখানের বিভিন্ন ক্যাম্পে যাবেন এবং বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথাও বলবেন তাঁরা। এদিকে জাতি সংঘর্ষ শুরুর পরেই মণিপুরে যেতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কছে একটি চিঠিও পাঠান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সুস্মিতার দাবি,ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করা ছাড়া আর কোন জবাব পাওয়া যায়নি। এরই রেশ ধরে সুস্মিতা এও জানান,’মণিপুরের এই কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর চুপ করে থাকায় আমরা মর্মাহত। তবে আমাদের আশা মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে।’
এদিকে ৩ মে থেকে শুরু হওয়া মণিপুরে এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন প্রায় ১৬০জন। এদিনই একটি টুইট করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, তাদের দলের পাঁচজন সংসদ মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন। তাদের কাছে প্রথম গুরুত্ব পান মানুষ। তাই সেখানের বাসিন্দাদের সমর্থন করতে যতদূর যেতে হয় ততটাই যাবে তৃণমূল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + eleven =