নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া থেকে গ্রেপ্তার ভিলেজ পুলিশ সঞ্জয় গুড়িয়া। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া অঞ্চলে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অশান্তি ও গোলমালের বিস্তর অভিযোগের পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতি-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এরপর বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয় গুড়িয়াকে। সূত্রে খবর, সঞ্জয়ের বাড়ি নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া অঞ্চলে। কলকাতার ভবানীপুর থানায় দায়ের হওয়া এক নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মারধর,দলবদ্ধভাবে হামলা,মারধর করে কাউকে গুরুতর জখম করা,ভয় দেখানো এবং খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এরই পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে এও জানানো হয়েছে যে,তথ্যফাঁসের অভিযোগও উঠেছে ওই ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর,কলকাতায় ভবানীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নন্দীগ্রামের গোলমাল নিয়ে। অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির ২০ জন নেতা, কর্মী-সহ সঞ্জয় গুড়িয়া নামে ওই ভিলেজ পুলিশ ও তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা রাজু গুড়িয়ার বিরুদ্ধে। রাজু ও সঞ্জয় দুই ভাই। এই ঘটনায় ইতিপূর্বেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সঞ্জয়ের গ্রেপ্তারির পর এই সংখ্যা দাঁড়াল ৪-এ।
উল্লেখ্য,ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। বাকি আটটি গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া ও বয়াল অঞ্চলে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৪ জন তৃণমূল কর্মীকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিছুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান। এরপর বুধবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও এসএসকেএম হাসপাতালে যান আক্রান্তদের দেখতে। আক্রান্ত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলার সময়েই এক আক্রান্ত কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজু গুড়িয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নন্দীগ্রামে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয় গুড়িয়াকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজু গুড়িয়াকে গ্রেপ্তার করতেও যায় পুলিশ। কিন্তু রাজু তখন বাড়িতে ছিল না। রাজুকে না পেয়ে তার ভাই ভিলেজ পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সঞ্জয়কে হলদিয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।