তথ্য ফাঁস থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ার এক ভিলেজ পুলিশে সঞ্জয় গুড়িয়ার বিরুদ্ধে। সঞ্জয়কে বুধবারই গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় বলে সূত্রে খবর। এরপর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পেশ করা হয় হলদিয়া মহকুমা আদালতে। তবে আদালতে ধোপেই টেঁকেনি পুলিশি হেফাজতের আর্জি। জামিন পেয়ে যান ধৃত ভিলেজ পুলিশ।
হলদিয়া মহকুমা আদালত সূত্রে খবর, পুলিশের তরফে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে সঞ্জয়ের জামিন মঞ্জুর করে দিনে বিচারক সৌম্য চট্টোপাধ্যায়। আদালতে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিচারক। আদালতের তরফ থেকে যে প্রশ্ন রাজ্য পুলিশের সামনে রাখা হয় তা হল, যে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে গ্রেফতারি, সেই মূল অভিযোগ পত্রে এই ভিলেজ পুলিশের নামই নেই। তাহলে পুলিশ তাঁকে ধরল কেন তা নিয়েই। তদন্তকারী অফিসার তখন আদালতে আবেদন করেন, ওই ধৃতের কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। তাই তাঁকে যেন চার দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করা হয়।
এদিন আদালতের ভিলেজ পুলিশের আইনজীবী কাঞ্চন খাঁড়ার দাবি, তাঁর মক্কেলের কোনও দোষ নেই। শাসকপক্ষের কথা না শোনার জন্যই তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তাই তাঁর জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন ভিলেজ পুলিশের আইনজীবী। যদিও সরকার পক্ষের আইনজীবী এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ওই ভিলেজ পুলিশের জামিন মঞ্জুর করেন।
আর এদিকে ভিলেজ পুলিশ সঞ্জয় গুড়িয়ার গ্রেফতারি নিয়ে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতর। তৃণমূল শিবির বলছে, তদন্ত তদন্তের মতো চলবে। আবার বিজেপি শিবির বলছে, ওই ভিলেজ পুলিশ শাসক দলের কথা না শোনার কারণেই পুলিশ ‘দলদাসের’ ভূমিকা পালন করেছে।