মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিয়ো সামনে আসার পরই দেশ জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। এই ভিডিও নিয়ে টুইটার সহ সমস্ত সোশ্যল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিরে সতর্ক করা হল ভারতের মহিলা কমিশনের তরফ থেকেও। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভিডিয়োটি সরানোর। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ভারত সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে মেনে চলতে হবে ভারতের আইন। সেই কারণেই ভিডিয়ো সরানোর এই নির্দেশিকা বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। ভিডিয়োটি সরানো না হলে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছ মহিলা কমিশন।
এদিকে, ৭৭ দিন আগের ঘটনার ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর কেন্দ্রের উপর তৈরি হয়েছে চাপ। তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তির নির্দেশ দেয় মোদি সরকার। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতারও করেছে মণিপুরে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম হুইরেম হেরোদাস মেইতি। বয়স প্রায় ৩২ বছর। ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হলেও, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োটিকে ধৃতকে সুবজ টি-শার্ট পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। তা সনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাকে। মণিপুরের আদিবাসি উপজাতি নেতা ফোরামের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৪ মে কাংপোকাপি জেলায়। ভিডিয়োটিতে দেখা যায় একদন পুরুষ মিলে নারীদের শ্লীলতাহানি করছে।
৭৭ দিনের আগের ঘটনায় কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতারে গড়িমসি করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী শিবির থেকে। সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে সরকারের বিবৃতি দাবি করে সরব হতে দেখা যায় বিরোধীদের। এরপর বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার দিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয় দুই কক্ষের অধিবেশন।
এদিকে মণিপুরের ঘটনার নিন্দা করে সরব হতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। মণিপুরে দুই মহিলার সঙ্গে আচরণ, দেশের মানুষের মাথা লজ্জায় হেট হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তিরও আশ্বাস দেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে খুশি নয় বিরোধী শিবির। মণিপুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। একটি রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি। এদিকে মণিপুরে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে মনে করছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি।