এখনও উত্তপ্ত মণিপুর। এদিকে গোটা মণিপুরের বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোট ৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে বলে মণিপুর প্রশাসন সূত্রে খবর। এর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া বা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। সরকারি সংস্থার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, মণিপুরের নজরদারি অনেক বাড়ানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অশান্তির আঁচ পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফলে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ভুল তথ্য যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। যে কোনও ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ভিডিয়ো বা ছবির সত্যতা যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিক, থানাগুলির এমনই অবস্থা যে পুলিশের পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো সবক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সূত্রে এ খবরও মিলছে, কেন্দ্রের তরফে আরও ১৩৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে মণিপুরে, যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখা সম্ভব হয়। মণিপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, মণিপুরের ১৬টি জেলার মধ্যে অন্তত ৮টি জেলা থেকে অশান্তির খবর আসছে। দিল্লিতেও পৌঁছেছে মণিপুরের আঁচ। লোকসভা অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। বিজেপি বিরোধী বা ‘ইন্ডিয়া’ জোটে থাকা দলগুলি দিল্লিতে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।