২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণ অথচ চাকরি করছেন এমন শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে ইতিমধ্যে এই নামের তালিকা এসেছে সিবিআই দফতরে। এবার তাঁদেরই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এর আগেও আদালত এই ধরণের বেআইনি পথে চাকরিপ্রাপকদের প্রসঙ্গ তুলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরামর্শ দেয়। এবার কার্যত সেই সকল শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড শুরু করল সিবিআই। এবার মূলত যে প্রশ্নটি তদন্তকারীরা করতে চলেছেন তা হল টেট পাশ না করেও কী ভাবে চাকরি করছেন তাঁরা বা কী ভাবে পেলেন নিয়োগপত্র তা নিয়েই। এদিকে সূত্রে খবর, জানা গিয়েছে, এই শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ডও শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকটি জেলা যেমন কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। গত দুদিনে চার জেলার একাধিক শিক্ষকের বয়ান রেকর্ড হয়েছে।এই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে যে তথ্য সামনে এসেছে তা হল, অনুত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। এছাড়া জেলার মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল যোগাযোগ। এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। আগামী দিনে বাকি জেলার শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় অনুর্তীর্ণ ২০১৬ সালের চাকরিপ্রাপক শিক্ষকদের নিয়ে বারবার উঠেছে অভিযোগ। এসএসসি এবং টেট এই দুই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার প্রেক্ষিতেই তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। যার সঙ্গে জড়িয়ে যায় মডেল তথা অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামও। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা।এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত পার্থ এবং অর্পিতা দুই জনেই সংশোধনাগারে।মামলাটিও আদালতে বিচারাধীন।প্রতিদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে।অন্যদিকে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে কাজ হারিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। সব মিলিয়ে এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।