নাবালক হয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালানোর শাস্তি ১০দিন ট্র্য়াফিক ডিউটি পালন

নাবালক হয়েও চালাচ্ছিলেন অ্যাম্বুল্যান্স। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে এক কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে ধাক্কাও মারে অভিযুক্ত নাবালক। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অভিনব শাস্তির ব্যবস্থা করা হল এই নাবালকের। জুভেনাইল বোর্ড জানায়, শাস্তিস্বরূপ কলকাতার কোনও একটি সিগন্যালে তাকে ১০দিন যান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বছর দেড়েক আগে চেতলা রোডের কাছে এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছিল ওই নাবালক। বর্তমানে বয়স ১৮ পেরিয়ে গেলেও সেই সময় নাবালক ছিল ছেলেটি। চেতলা অঞ্চলের বাসিন্দা ওই নাবালক মূলত অ্যাম্বুল্যান্স গাড়ির সহকারী হিসাবে কাজ করতো। কিন্তু, ঘটনার দিন রোগীকে হাসপাতালে রেখে এসে স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালাতে শুরু করে ওই নাবালক। এরপর রাতের দিকে, অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পেরে চেতলার কাছে একজন কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবলকে ধাক্কাও মারে। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচেন ওই কনস্টেবল। তবে তিনি গুরুতর জখম হন। ওই নাবালককে এরপর আটক করা হয়। এরপরই নাবালক হয়ে লাইসেন্স ছাড়া সেই নাবালক কী ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

এদিকে এই ঘটনায় কলকাতার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের অধীনে ওই নাবালকের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচার শেষে বিচারক এই অভিনব রায় দেন। তাঁর বিচার অনুযায়ী, কলকাতায় কোনও এক ট্রাফিক সিগন্যালে দশ দিন ধরে যান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ওই বালককে। কোন সিগন্যালে ওই বালক কাজ করবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে ভবানীপুর ট্রাফিক গার্ডকে। সঙ্গে এ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, ২৩ জুলাইয়ের মধ্যেই ঠিক করতে হবে এই জায়গা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =