ফের দিল্লি গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠক শেষ করে তিনি রওনা হন দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশে। বিধানসভা ছাড়ার সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় কাজে দিল্লি যাচ্ছেন। তবে কেন ফের তাঁর দিল্লিযাত্রা এমন প্রশ্নের জবাবে মুখে কুলুপ আঁটতেই দেখা যায় বিরোধী দলনেতাকে। তবে স্যাফ্রন ব্রিগেড সূত্রে খবর,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই তড়িঘড়ি রাজধানী গেলেন শুভেন্দু। সূত্রে এ খবরও মিলেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক বসবেন তিনি। মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীদের। তবে রাত বারোটাও নয়, সূত্রের খবর, বৈঠকের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে। বুধবার দুপুরে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী। এখনও পর্যন্ত তাই স্থির রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ লোকসভার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটের বিমানে দিল্লি রওনা দেন তিনি। এদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার রাতে দিল্লির রওনা হয়েছিলেন শুভেন্দু। সোমবার সেই বৈঠক শেষ করে রাতেই কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি।
সোমবার সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। মঙ্গলবার তাঁর মরদেহ আনা হয়েছিল বিধানসভায়। সেখানে সতীর্থ বিধায়কের শেষ যাত্রার প্রস্তুতি এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে ব্যস্ত ছিলেন বিরোধী দলনেতা। প্রয়াত বিধায়কের দেহ ধূপগুড়ি রওনা হওয়ার পর বিধানসভাতেই বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষ করে দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দু। মনে করা হচ্ছে, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে তাঁর যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, সেই বৈঠক ওই দিন হয়নি। তাই জরুরি বৈঠক করতে আবারও মঙ্গলবার তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছেন শাহ। সেই ডাকে তড়িঘড়ি তাঁর দিল্লিযাত্রা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু ছাড়াও থাকতে পারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার। দিল্লি যাওয়ার কারণে বুধবারের বিধানসভার অধিবেশনে অংশগ্রহণ না-ও করতে পারেন বিরোধী দলনেতা। তাই বিধানসভার কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব তিনি দেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। বিধানসভা ছাড়ার আগে শুভেন্দু বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা আলোচনা চেয়েছি।’ আলোচনা না করতে দেওয়া হলে বিকল্প ব্যবস্থাও ভাবা রয়েছে বলে বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।