বর্ষাকাল মানেই সর্দি-কাশি থেকে পেটখারাপ, নানা রকম শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকে। বিশেষত, ছোট বাচ্চাদের বাবা-মাকে এই সময়ে সবথেকে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ বড়দের তুলনায় ছোটদের শরীরে ইমিউনিটি থাকে অনেকটাই কম। ফলে নানারকম রোগ-ব্যাধিতে কাবু হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না অভিভাবকরা। আর তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা কমানো যেতে পারে।
মধু ও তুলসী- মধু আর তুলসী এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানের গুণেই সর্দি, কাশির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। এমনকী বুকে জমে থাকা কফও বেরিয়ে আসবে। তাই বিপদের সময় এই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে ভুলবেন না। প্রথমে তুলসী পাতা ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর সেই পাতায় মধু লাগিয়ে চট করে সন্তানকে গিলে ফেলতে বলুন। এতেই দেখবেন উপকার মিলবে হাতেনাতে।
আদার রস- সর্দি-কাশিতে আদাও খুব উপকারী। এর একাধিক গুণ রয়েছে। আদায় মজুত থাকে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদানের অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিমাইক্রোমিবায়ল এফেক্ট রয়েছে। তাই সন্তানের জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যাকে নিমেষে দূর করে দিতে পারে আদা। সুতরাং সন্তান এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলে তাকে সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে আদার রস খাওয়ান। দেখবেন দ্রুত কমবে সমস্যা।
ভিটামিন সি- আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এরই পোশাকি নাম ইমিউনিটি। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ইমিউনিটি চাঙ্গা থাকলে একাধিক অসুখের সঙ্গে লড়াই করতে সুবিধা হয়। তাই অসুস্থ অবস্থায় সন্তানের পাতে এমন খাবার রাখতে হবে যা ইমিউনিটি বাড়াতে সক্ষম। আর এই কাজে সিদ্ধহস্ত হল ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। তাই সন্তান জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভুগলে তাঁর ডায়েটে লেবু, পেয়ারা, আপেল রাখতে হবে। এই ধরনের ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেলেই বাচ্চা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
দই- আমাদের অন্ত্রে রয়েছে কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের নানা কাজে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় দেহের ইমিউনিটি বাড়াতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে দই। আসলে দইতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোবায়োটিক যা কিনা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির কাজে একাই একশো
গার্গল – ছোটদের মধ্যে অনেকেই সিজন ফ্লুয়ের খপ্পরে পড়ে গলার ব্যথায় খুব কষ্ট পায়। তাই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার। আর এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নুন জলে গার্গল করা দরকার। এতেই ব্যথা ও ফোলা কমবে। এমনকী গলায় উপস্থিত ভাইরাসও মরে যাবে। তাই গলায় ব্যথা থাকলে দিনে ২ থেকে ৩ বার গার্গল করা হল মাস্ট।