সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে এবার চার্জশিট জমা দিতে চলেছে ইডি। চলতি সপ্তাহেই জমা পড়তে চলেছে চার্জশিট। এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। ফলে এবার আরও বিপাকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। ইডির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কাকুর থেকে নিয়োগ দুর্নীতির ১১ কোটির বেশি টাকার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়টিই চার্জশিটে উল্লেখ করবে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা একাধিক সংস্থা ও নির্মাণ সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেও ইডি-র হাতে তথ্য এসেছে। শুধু তাই নয়, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের মাধ্যমে নিজের সংস্থার শেয়ার দর বেআইনিভাবে বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সুজয়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ হাওয়ালা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত বলে উল্লেখ করা হচ্ছে চার্জশিটে, এমনটাই খবর ইডি সূত্রে।
ইডির তরফ থেকে এও দাবি করা হচ্ছে যে, নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা নিজের পকেটে পুরেছিলেন কালীঘাটের কাকু। সেই টাকা তিন থেকে চারটি সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন। একাধিক নির্মাণ সংস্থার শেয়ার দর বেআইনিভাবে বাড়িয়ে অন্য একটি সংস্থাকে দিয়ে শেয়ার কিনিয়েছিলেন। কুন্তল-শান্তনুদের সঙ্গে কীভাবে তিনি নিয়োগ দুর্নীতির কারবার চালিয়েছিলেন, তাও উল্লেখ করা হচ্ছে ইডি এই চার্জশিটে। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ইডি-র এহেন চার্জশিট আদালতে জমা পড়ার পর সুজয়কৃষ্ণর বিপদ যে বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক।
প্রসঙ্গত, সুজয়কৃষ্ণেরআরও কারবারের খোঁজ পেতে জুলাইয়েই শহরের তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এর মধ্যে রয়েছে এজেসি বোস রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস। মূলত এই তিনটি অফিসই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কাকুর টাকা এই সমস্ত সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে খবর পান ইডি আধিকারিকরা। এদিকে এখনও পর্যন্ত কালীঘাটের কাকুর যে ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা তারও ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে ইডি-র তরফ থেকে।