গণপিটুনির ঘটনা রুখতে কী পদক্ষেপ তা জানতে চেয়ে বিভিন্ন রাজ্য়ে চিঠি শীর্ষ আদালতের

রাজ্যে রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা কমছেই না। বিশেষত, গোরক্ষার নামে চলছে এই হিংসার ঘটনা। গত ২৮ জুন বিহারের সারণ জেলায় গরুর মাংস পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির শিকার হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। আর এই ইস্যুতেই এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং কয়েকটি রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালাকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।

গত কয়েক বছরে দেশের একাধিক রাজ্যে ‘গরু পাচারকারী’ তকমা দিয়ে সংখ্যালঘুদের গণপিটুনির ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযোগ উঠেছে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রাণও হারিয়েছেন আক্রান্তরা। । এরই প্রতিবাদে ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন’ নামে একটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এই সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ শনিবার কেন্দ্র এবং হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্র সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে জবাব চায়।

গত ২৮ জুন বিহারের সারণ জেলায় গরুর মাংস পাচারের অভিযোগে যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে তার জেরে নতুন করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় মামলা। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল শনিবার শুনানিপর্বে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের।’ সমাজমাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্ররোচণামূলক প্রচার গণপিটুনির অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপি সিব্বল।

প্রসঙ্গত, গণপিটুনির ঘটনা রুখতে ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ নতুন আইন প্রণয়নের কথা চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। বিচারপতি এএম খানউইলকরের পাশাপাশি, ওই বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। যদিও ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন,‘ নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে গণপিটুনির ঘটনা আদৌ বাড়েনি। সেকারণেই নতুন আইনেরও কোনও প্রয়োজন নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =