ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার আদালতে একথা জানাল রাজ্য। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে রাজ্যের এই দাবির পর আদালতও জানিয়েছে এখন আর নওশাদের ভাঙড়ে ঢুকতে কোনও বাধা নেই। ফলে সোমবারই যে আদালতে ভাঙড় মামলার নিষ্পত্তি হল, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিকে ভাঙড়ে ঢোকার মুখে একাধিকবার বাধা পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কেন নির্বাচিত বিধায়ককে তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্রে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্নও আদালতে এদিন তোলেন তাঁর আইনজীবী। এমনকী নওশাদকে আটকাতে অতিসক্রিয়তাও দেখানো হয়েছে বলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে অভিযোগ জানানো হয়। তখনই রাজ্যের আইনজীবী জানান, সোমবার থেকে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বিধায়ক নওশাদের মামলার কোনও যৌক্তিকতা নেই বলে আদালতে জানায় রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত মনোনয়ন পর্ব থেকে ভাঙড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। গুলি চালনা ও মুহুর্মুহু বোমবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ও আইএসএফের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন পর্বে দুই তৃণমূল ও এক আইএসএফ সমর্থকের মৃত্যু হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কোনও বড়ধরনের ঘটনা না ঘটলেও ভোটগণনার সময় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এরপরই আইএসএফ-এর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের প্রার্থীকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই ইস্যুতে পুলিশের সঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকির দলের সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। গুলিতে আহত হন বারুইপুর পুলিশের এএসপি সহ দুই পুলিশকর্মী। এদিকে আবার ১২ জুলাই নওশাদকে রাজারহাটে আটকায় পুলিশ, ১৭ জুলাই তাঁকে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর সম্প্রতি ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। তারপর ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।