তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। এক সংস্থার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন বেশ কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি। অভিযোগ, সেই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। অভিযোগকারীদের দাবি, কো-অপারেটিভ ব্যবস্থায় ফ্ল্যাট কেনার কথা হয়েছিল একটি সংস্থার সঙ্গে। মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার চুক্তি মতো ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন অভিযোগকারীরা। ২০১৪ সালে ৪২৯ জন এমনভাবে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। ২০১৮ সালের পরেও ফ্ল্যাট না মেলায় তাঁরা অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন গড়িয়াহাট থানায়। কোনও সুরাহা না হওয়ায় ওই অভিযোগকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হন।পাশাপাশি তাঁরা এ অভিযোগও এনেছেন যে, প্রতারণার টাকায় নুসরত নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন। অবিলম্বে এই ঘটনায় তদন্তের দাবিও জানান তাঁরা।
এই অভিযোগকারীদের নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার ইডি দফতরে হাজির হতে দেখা যায় বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা অভিযোগকারীদের সঙ্গে নিয়ে জানান, আদালত বারবার সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নুসরতকে তলব করা সত্ত্বেও তিনি যাননি। সেখানেই শেষ নয়, যে অ্যাকাউন্টে ওই অভিযোগকারীদের দেওয়া টাকা জমা পড়েছিল, সেই টাকা থেকেই নুসরত নিজে পাম অ্যাভিনিউতে কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও দাবি করেন অভিযোগকারীরা। প্রমাণ হিসেবে সেই লেনদেনের নথি, নুসরতের ডিরেক্টর পদের প্রমাণও দেওয়া হয়েছে ইডি দফতরে। একইসঙ্গে বিজেপি নেতার দাবি, বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। তাতে কেন নুসরতের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শঙ্কুদেব। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি এই প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া না শুরু হয়, তাহলে তিনি তাঁদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতার পথে বসবেন। অভিযোগকারীরা অবশ্য জানিয়েছেন, বর্তমানে নুসরত আর ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নেই, তবে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটটি কেনার সময় সংস্থার ওই পদে ছিলেন অভিনেত্রী।