পাড়ায় বাড়ির সামনে স্টল সাজিয়ে এগরোল বিক্রি করতেন। পাড়া সূত্রেই পরিচয় এবং তা এতটাই গভীর হয় যে এগরোল বিক্রেতাকেই কোম্পানির ডিরেক্টর বানিয়ে দেন সুজয়কৃষ্ণ। এই সূত্র ধরেই ইডি এই চার্জশিটে তুলে ধরেছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন- কমান্ডের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের ‘ঘনিষ্ঠতার’ কথাও।
ইডি আধিকারিকরা চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা সমস্যা পড়লে কাকুর সঙ্গে দেখা করতেন বা নেতাদের মাধ্যমে চিঠি পাঠাতেন। কারণ, তাঁরা এটাই ভাবতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে কাকু সঠিক জায়গায় তাঁদের বিষয় তুলে ধরতে পারবেন। সুজয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থা ‘ওয়েলথ উইজার্ড’-ই ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কালো টাকা সাদা করার রাস্তা। এগরোল বিক্রেতা নিখিল হাতিকে নিজের সংস্থায় ডিরেক্টর করেছিলেন সুজয়।
এদিকে ইডি আধিকারিকদের একাংশ এমনটাও মনে করছেন, কালীঘাটের কাকুর কীর্তি অপার। ইডি-র দাবি, কাকুই পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বিধানসভার টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন। ইডি তাঁদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, সুজয়কৃষ্ণ নিজেই ঘুরিয়ে এমনভাবে বয়ান দিয়েছেন,যাতে অভিষেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।