ব্যালট বিভ্রাটে ধূপগুড়ির বিডিও-র কাছে কৈফিয়ৎ তলব আদালতের

ব্যালট-বিভ্রাটে ধূপগুড়ির বিডিওর কাছে কৈফিয়ৎ তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার যে উত্তর বিডিও-র তরফ থেকে দেওযা হয়েছে যে জবাব তিনি দিয়েছেন, তাতে খুশি নয় কোর্ট। আবারও তলব করা হল বিডিও শঙ্খদীপ দাসকে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, সদ্য অনুষ্ঠিত রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে বিডিওদের ভূমিকা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। একাধিক বিডিওর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। এই তালিকায় নাম রয়েছে ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাসেরও।

সমস্যা তৈরি হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোরা-২ গ্রামপঞ্চায়েতের সোনাখালি ১৫/২০৮ বুথে ভোট লুঠের অভিযোগ ওঠে নির্বাচনের দিন। এরপর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বেশ কিছু ব্যালটও উদ্ধার হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এখানকার কংগ্রেস প্রার্থী শেহনাজ পারভিন এই অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনিই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। এরপরই ধূপগুড়ির বিডিওকে ডেকে পাঠায় হাইকোর্ট।

বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ব্যালট পেপার বাইরে চলে গেল বিডিও কিছুই জানেন না, এটা কী করে সম্ভব।  সঙ্গে এ প্রশ্নও করেন এই ঘটনায় ওনাকে কেউ কিছু বলেননি সেটাই বা হয় কী করে। কারণ, এটা খুব বড় অভিযোগ। এরপৎই বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘অশান্তির ছবিও এসেছে। ২৮৯টি ভোট পড়েছে, অথচ ৯৬ ভোট গোনা হল! বিডিওর মনে কেন কোনও প্রশ্ন এল না তা নিয়েও প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

এরপরই বিচারপতি সিনহা বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই প্রশ্ন করেন, ‘বাক্স বাইরে কীভাবে এল, সেটাই বলুন। বিডিওর যুক্তি অ্যাবসার্ড। যা বলবেন আদালতে সেটাই কি মেনে নিতে হবে নাকি? মার্জিন মাত্র ১১। আর বাইরে ব্যালট পড়ে আছে ৪৭।’- এই ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে আদালতে বিডিওকে আসার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

বিডিও শঙ্খদীপ দাস ইতিমধ্যেই আদালতে মেনে নিয়েছেন, বাইরে পাওয়া ব্যালটগুলি আসল। আদালতে তিনি জানান, ‘ব্যালট পেপার হারানোর পরও কেনও কোনও অভিযোগ হয়নি। মামলাকারীর স্বামী নিজেই তো এজেন্ট ছিলেন। তিনিও কিছু বলেননি।’ এদিকে আদালত সূত্রেও জানা যাচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসার মণিমোহন দাস কোনও রিপোর্ট দেননি এই ঘটনায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =