সকাল থেকে বিক্ষোভ করেও চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা হল না চাকরিপ্রার্থীদের, জের পড়ল কালীঘাটে

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও এসএসসি চেয়ারম্যানের দেখা পেলেন না চাকরিপ্রার্থীরা। ফিরে যেতে বাধ্য হলেন তাঁরা। আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ৫ জনের প্রতিনিধি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার জন্য দুপুর ২ টো নাগাদ পৌঁছন আচার্য সদনে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ইমেল মারফৎ আগেই দেখা করার সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। নির্দিষ্ট দিনক্ষণ না নিয়েই দেখা করতে চলে আসায় চেয়ারম্যান চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেননি বলেই সূত্রের খবর।

এরপর চাকরি প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার দুপুরে আচার্য ভবনে পৌঁছলেও ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ফোনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা না বলে কার্যত হতাশ হয়ে ফিরে যান চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে শেষ না করলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন চাকরিপ্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই বিক্ষোভে সামিল হলেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। হকের চাকরির দাবিতে আবারও বিক্ষোভের পথে তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই শহিদ মিনারে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ দিন সকালবেলাই আচার্য সদনের জমায়েত শুরু করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন। আন্দোলনরত আর এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘২৪৪ তম দিনে ধর্না মঞ্চ পড়ল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্যানেল প্রকাশ করল না। কোর্টের নামে জারিজুরি করছে এই নির্লজ্জ অপদার্থ চেয়ারম্যান।’ আন্দোলনরত অপর এক চাকরি প্রার্থী জানান, ‘আমরা সারাদিন এখানে বসে থাকব। কমিশনের কোনও টালবাহানা আর শুনব না। আজকেই আমাদের প্যানেল দিতে হবে।’ তাঁদের বক্তব্য শহিদ মিনারে বসে বসে তারা ক্লান্ত। কতদিন তারা আর অপেক্ষা করবেন প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিধাননগর থানার পুলিশ।সল্টলেকে জমায়েত, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে চড়তে থাকে স্লোগান। অ্যালার্ট থাকে পুলিশ প্রশাসনও। ব্যারিকেড ভেঙে ভবনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে তাঁদের সরিয়ে আনে। চলতে থাকে ধস্তাধস্তি। দেখা যায়, কোনও কোনও চাকরিপ্রার্থীর জামাও খুলে যায়। সেখান থেকে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ রওনা দেন কালীঘাটের দিকে। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।  যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনেও চাকরিপ্রার্থীদের একটি দল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু পুলিশ মেট্রো স্টেশনের ওখানেই তাঁদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =