পার্থর জামিনের ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়াল সেই প্রভাবশালী তত্ত্বই। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের আর্জি জানানো হলে আদালতের এক অর্ডার কপিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হয় ‘মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পার্সন’ বলে। এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হয় পার্থ অত্যন্ত প্রভাবশালী। এ কথা প্রমাণ করতে বারবার আদালতে সওয়ালও করতে দেখা যায় ইডি-র আইনজীবীকে। এরপরই আদালত পার্থকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করে। সূত্রে খবর, এই প্রথমবার কোনও আদালত পার্থকে এতটা কড়া ভাষায় প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করল। রাজনৈতিক এবং আইনজ্ঞ মহলের ধারনা, এর ফলে পার্থ আরও বেকায়দায় পড়লেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। বারবার আর্জি জানালেও এখনও জামিন পাননি তিনি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে বৃহস্পতিবার ইডি আদালত পার্থর জামিন মামলার রায় দিয়েছে। সেই অর্ডার কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অভিযুক্ত অন্যতম প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি।’ তাঁকে জামিন দিলে আগামীদিনে এই মামলার তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার এবং তদন্তকে প্রভাবিত করার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছে আদালত। একই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, পার্থর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে কতটা প্রভাবশালী, তা বোঝাতে ইডি মনে করিয়ে দিয়েছিল, গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন পার্থ, গ্রেফতার মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের আত্মীয় বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, জেলবন্দি পার্থর হাতে আংটি, তাঁর আদালতে আসার জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা, সবটাই উল্লেখ করা হয়েছিল ইডি আদালতে। উল্লেখ্য, এর আগে হাতে থাকা আংটি নিয়েও বিপাকে পড়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জেলে বন্দি হলে প্রত্যেককেই হাত থেকে আংটি খুলে ফেলতে হয়। পার্থর ক্ষেত্রে কেন তা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল ইডি। পরে ওই আংটি খুলে ফেলতে হয় পার্থকে।