উন্নত হচ্ছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি। একই সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রাও পরিবর্তনের সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ, মানসিক চাপের মতো সমস্যা। আক্রান্ত হচ্ছেন জটিল অসুখে। তাই মানুষ চাইছে রোগ নিরামনয়ের ক্ষেত্রে আধুনি্ক যে সব উপায় আছে তা বেছে নিতে। তবে মানসিক সমস্যা সমাধানের পথ বেছে নিতে সবাই খুঁজছেন এমন এক রাস্তা যেখানে ওষুধ ছাড়াই সমস্যার সমাধান করা যায়।
আসলে রোগ নিরাময়ের অনেক কৌশল আমরা দেখি, যা হয়তো বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে অনেকটা আলাদা। তেমনই একটি পদ্ধতি হতে পারে ‘সাউন্ড থেরাপি’। এই পদ্ধতি কিন্তু নতুন নয়। ভারতের মাটিতে শতাব্দী প্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করা হত। তবে বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এর তেমন ব্যবহার নেই। তবে একাংশের দাবি, এই সাউন্ড থেরাপি নানা ভাবে উপকার করে। কোনও ব্যক্তির যদি মাথাব্যথা, মানসিক অসুস্থতা, স্ট্রেস থাকে, তাহলে সাউন্ড থেরাপি তাঁকে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই সাউন্ড থেরাপি ক্যানসারের মতো বড় রোগও নিরাময় করতে পারে।শব্দ দ্বারা রোগ নিরাময়ের চেষ্টা আসলে একটি কারিগরি চিকিৎসা পদ্ধতি। জার্মানির মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে এর ব্যবহার৷ ভারতেও চালু রয়েছে এই পদ্ধতি। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে সাউন্ড থেরাপি-র সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। ভোপালের ‘উইজার্ডস অফ সাউন্ড’-এ সাউন্ড হিলিং করা হয়। এখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শব্দ নিরাময় বা সাউন্ড থেরাপি খুব পুরনো কৌশল। এটি অনেক বড় বড় রোগের নিরাময় করতে পারে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, শব্দের মাহাত্ম্য নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। কথিত আছে, শব্দ মানুষের মন, মেজাজের উপর কার্যকরী প্রভাব ফেলতে পারে। এই শব্দ মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে। তাই সাউন্ড থেরাপি মাথা ব্যথার উপশম করতে পারে। এতে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরে নতুন শক্তি অনুভব করা সম্ভব হয়। আমাদের কাজের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। সাউন্ড থেরাপিও মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।