বেহালার ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল লালবাজার

শনিবার কলকাতার পুলিশের তরফ থেকে ফের নির্দেশিকা পাঠানো হল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টরদের। নির্দেশিকায় জানানো হয়, ৮ টা নয়, সকাল ৬টা থেকেই কলকাতা শহরে নিষিদ্ধ হচ্ছে লরির এন্ট্রি। এও বলা হয়, সরকারি বা বেসরকারি স্কুল বলে আলাদা কিছু নয়,সমস্ত স্কুলের সামনেই ট্রাফিক পুলিশের অফিসার মোতায়েন থাকবেন। কোনও জায়গায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, সবার আগে মৃতদেহ তুলতে হবে। এটা স্পষ্ট যে বেহালা কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। কোথায় কোন বাহিনীকে কোন দায়িত্বে রাখা হচ্ছে তা নিয়েও তৎপরতা শুরু হয়েছে লালবাজারে। এদিকে লালবাজার সূত্রে খবর মিলছে, শুক্রবার সমস্ত ডিভিশন থানাতে লালবাজারের নির্দেশিকা পাঠানো হয়। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,

১) থানায় যেন সবসময় হয় ওসি কিংবা অতিরিক্ত ওসিকে পাওয়া যায়।

২) কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট (থানা, ব্যারাক, ডিভিশন-সহ সমস্ত ইউনিট)-এ মোট ফোর্সের ২৫ শতাংশ থাকা বাধ্যতামূলক এবং তা সুনিশ্চিত করতে হবে প্রতিদিন। বিশেষ করে রাতে এই ফোর্স থাকা বাধ্যতামূলক।

৩) আইন শৃঙখলা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত কমিশনার, ওসি এবং কন্ট্রোল রুম ফোর্স মোতায়েন করবে। মোতায়েন করতে হবে পর্যাপ্ত মহিলা বাহিনী।

৪) ডিসি-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নজরদারি রাখবেন

শুক্রবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকে বেহালা। বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীলের। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি তার বাবা। দুর্ঘটনার পর রণক্ষেত্রর আকার নেয় গোটা এলাকা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের ভ্যান এবং বাইকে। রাস্তার মাঝে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকতে উলটে পড়া পুলিশের প্রিজন ভ্যান। স্থানীয়দের বিক্ষোভে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোড। দফায় দফায় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। এই ঘটনার পরই তৎপর কলকাতা পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =