শুক্রবার সকালে পথ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় বেহালা চৌরাস্তা। কারণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ছিল, সিগন্যাল লাল ছিল। কিন্তু এর তোয়াক্কা করেনি ঘাতক লরির চালক। এদিকে এ প্রশ্নও উঠেছে, সকালের দিকে কেন ট্রাফিক পুলিশ সেখানে থাকে না তা নিয়ে। এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন তুলে কার্যত রণংদেহি ওঠেন স্থানীয়রা।
ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে দুষেছেন অনেকেই। কিন্তু এই বিতর্কের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য পোস্ট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি একটি টুইটে লেখেন, ‘বাচ্চাটার ছবিটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমরা সবাই দায়ী। গোটা সিস্টেম দায়ী। আমরা একটা সার্বিক বিশৃঙ্খলায় অভ্যস্ত। একটা লরি বা দুজন পুলিশের দিকে আঙুল তুললে শেষ হবে না। এই পাপ আমাদের সবার।’
কুণালের এই বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বেহালার চৌরাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। শুক্রবার এই অশান্তির জেরে দীর্ঘক্ষণ তা বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল থেকেই কার্যত সমগ্র ছবিটাই বদলে যেতে দেখা যায়। ডায়মন্ড হারবার রোডে এদিন বসানো হয়েছে ড্রপ গেট এবং ব্যারিকেড। যদি ড্রপগেট ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় সেক্ষেত্রে অনেকটাই দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানে স্থানীয়দের ক্ষোভ সৌরনীলকে হারানোর আগে কেন এই তৎপরতা দেখানো হল না কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে তা নিয়েও। সেক্ষেত্রে কি কোনও অঘটন না ঘটলে টনক নড়ে না প্রশাসনের, এমন প্রশ্নও তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ। ফুটপাথের দখলদারি নিয়ে এর আগেও বেহালাতে অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রশাসনের একাংশ বিষয়টি নিয়ে উদাসীন মনোভাব দেখিয়েছিল। আর সেই জন্যই সেখানে একাধিক ছোট দুর্ঘটনা ঘটেই চলে।
এদিকে শুক্রবার এই ঘটনায় বেহালা তপ্ত হয়ে ওঠার পরই মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে পরিস্থিতি প্রসঙ্গে খোঁজ নেন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়েও বিস্তারিত খোঁজ নেন তিনি। পাশাপাশি রাতে মৃত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।