স্যাফ্রন ব্রিগেডের মধ্যে অশান্তির জেরে সরিয়ে দেওয়া একাধিক জেলা সভাপতিকে তড়িঘড়ি জায়গা দেওয়া হল বিজেপির রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে। কারণ, মূলত জেলা সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়ায় দলের অন্দরেই। এরপরই এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় বঙ্গের স্যাফ্রন ব্রিগেডকে। প্রসঙ্গত, সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পর মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কর্মী নেতৃত্বের বিক্ষোভে মঙ্গলবার উত্তাল হয় সল্টলেক বিজেপির দফতরে।
এরপর বুধবার মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিদায়ী জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যকেও রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদিকে গত রবিবারই বিজেপির এ রাজ্যের একাধিক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে সরিয়ে নতুন সভাপতি নাম ঘোষণা করা হয়। বিজেপি রাজ্য কমিটির তরফে এই তালিকা সামনে আসার পর পরই দলীয় কর্মী সমর্থকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নতুন সভাপতিদের অনেককে নিয়ে বিজেপির দলের অন্দরেই নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয় মঙ্গলবার। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি ছিলেন প্রদ্যুৎ বৈদ্য। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে নতুন জেলা সভাপতি করা হয় নবেন্দু সুন্দর নস্করকে। এই ইস্যুতেমঙ্গলবার বিজেপির সল্টলেক কার্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিজেপির বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন ,‘নবেন্দু সুন্দর নস্কর পঞ্চায়েত ভোটের দলের টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দল কিভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে সেই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাকেই মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করে দিল তা নিয়েই। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভকারীর এও দাবি করেন, অবিলম্বে সভাপতি বদল করার। সঙ্গে আরও বড় আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি শিবিরের একাংশ। এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় বঙ্গ পদ্ম শিবির। আর এই বিক্ষোভের পরপরই মঙ্গলবার রাতেই বৈঠকে বসে বিজেপি রাজ্য কমিটি। সেখানেই যে সমস্ত সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বদল ঘটিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে সেই সমস্ত বিদায়ী জেলা সভাপতিদের রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই নজরে আসে দক্ষিণ কলকাতা,ব্যারাকপুর,আসানসোল,কাঁথি সহ একাধিক বিদায়ী জেলা সভাপতিদের নামনতুন রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে। আর এখানেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা,মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মতো নতুন করে যাতে আর কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভের আগুন না জ্বলে তা ঠেকাতেই তড়িঘড়ি মথুরাপুর সহ বিদায়ী জেলা সভাপতিদের অন্তর্ভুক্ত করা হল রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটিতে।