স্বপ্নদীপের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘাত শাসক-রাজভবনে

যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এবার প্রকাশ্যে এল রাজনৈতিক চাপান-উতোর। র‍্যাগিং নাকি খুন, সেই প্রশ্ন ছেড়ে এখন বঙ্গ রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে তা নিয়েই।  আর সেই প্রশ্নেই আরও ফের সামনে  এল রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। একদিকে, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মনে করিয়ে দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আচার্য তথা রাজ্যপালের প্রভাব অনেক বেশি।

শনিবার সকালে স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে একটি টুইটও করেন শিক্ষামন্ত্রী। টুইটে ব্রাত্য লেখেন, ‘স্বপ্নদীপের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার গভীর ও আন্তরিক সমবেদনা। একটি প্রতিশ্রুতিশীল ফুলের কুঁড়ি ছিঁড়ে যাওয়া বাংলা ও তার সমাজের বড় ক্ষতি। আমিও এই ধরনের জঘন্য সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই।’

এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতিও সুকান্ত মজুমদার তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘প্রশাসনিক মদত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিমসিপি, এসএফআই, ডিএসএফ-এর মত ছাত্র সংগঠনগুলো কোনওদিন র‍্যাগিংয়ের মত ঘৃণ্য অপরাধ চালাতে পারে না। স্বপ্নদীপকে নিজের প্রাণ দিয়ে তার মূল্য দিতে হল। আমি তাঁর পরিবারকে সকল প্রকার আইনি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এই দুঃখের মুহূর্তে তাদের পাশে আছি।’

এরই প্রত্যুত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, শুধুমাত্র রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোই বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য। পাল্টা জবাব দিয়ে আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘যে কোনও ঘটনাতেই রাজ্য সরকারের দোষ খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। গাছের পাতা নড়লেও রাজ্যের দোষ। সরকারের ওপর দোষ চাপানোর তাড়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি ভুলে গিয়েছেন যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি আচার্যের অধীনে রয়েছে। এই ঘটনা আসলে রাজ্যপালের ব্যর্থতা।’

বৃহস্পতিবার ভোরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর র‍্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় গোটা ক্যাম্পাস। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =