রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা

বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। শুক্রবার কোপ পড়ল রাঘব চাড্ডার ওপর। সই জালিয়াতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আপ সাংসদকে।অর্থাৎ, চলতি বাদল অধিবেশনে এ নিয়ে দু’জন আপের রাজ্যসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। বৃহস্পতিবার অসংসদীয় আচরণের জন্য লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সাসপেন্ড নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী জোর তরজা। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতে সাসপেন্ড করা হল আপ সাংসদকে।

প্রসঙ্গত, দিল্লির অধ্যাদেশ বিল নিয়ে কয়েকদিন আগে বিতর্ক তৈরি হয়। আপ সাংসদ চাড্ডার বিরুদ্ধে সই জালিয়াতির অভিযোগ আনেন রাজ্যসভার পাঁচ সাংসদ। বিলটি সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য চাড্ডা পাঁচ সাংসদের সই নকল করেন বলে অভিযোগ করা হয়।এরপরই এই ঘটনায় চাড্ডার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে আবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর শুক্রবার চাড্ডার বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। এরপরই বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। রিপোর্ট পেশ না হওয়ায় পর্যন্ত রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল চাড্ডাকে এমনটাই জানান তিনি। যদিও তার বিরুদ্ধে সই জালের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা অস্বীকার করেন রাঘব চাড্ডা। চাড্ডা জানান, কোনও বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে সাংসদদের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় না। যেখানে স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় না, সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেন আপ-এর এই সাংসদ। একইসঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। সংসদে বিজেপি তাঁর সঙ্গে লড়াই করতে না পেরেই ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে বলে অভিযোগ করেন।

প্রসঙ্গত, চাড্ডার আগে অসংসদীয় আচরণের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল আপের আরেক সাংসদ সঞ্জয় সিং। রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আপ সাংসদ। চেয়ারম্যান ধনখড় তাঁকে নিজের আসনে বসার জন্য বারবার আবেদন জানালেও, তা মানেননি সঞ্জয়। এরপর অবমাননাকর আচরণের জন্য পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য সঞ্জয় সিং-কে সাসপেন্ড করেছিলেন চেয়ারম্যান। এদিকে, অবমাননাকর আচরণের জন্য সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত নিয়েছে। আচরণের বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে আপ সাংসদের শাস্তির মেয়াদও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 6 =