ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘ভারত স্বাস্থ্য সূচক’-এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করল পে-নিয়ারবাই। আধা-গ্রাম এবং গ্রামীণ ভারতে ১০,০০০ এরও বেশি খুচরো বিক্রেতার ওপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতে পরিবার পিছু চিকিৎসা খাতে খরচ হয় বার্ষিক আয়ের ১৫-২০ শতাংশ। শুধু তাই নয়, এই সমীক্ষায় এও ধরা পড়েছে যে, ৫৫ শতাংশ মানুষ কখনও স্বাস্থ্যবিমার কথা শোনেননি। আর স্বাস্থ্য বিমা নেই এমন মানুষের সংখ্যাও প্রায় ৭০ শতাংশ। যার ফলে ২৩ শতাংশ মানুষকে হাসপাতালের খরচ মেটাতে ঋণের উপর নির্ভর করতে হয়। এই সমীক্ষায় এও উঠে এসেছে যে, চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য ৪৫ শতাংশ ভারতবাসীকে নিজের এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে যেতে হয়। তবে এই সমীক্ষায় এও জানা গেছে ৩৫ শতাংশ মানুষ বার্তমানে অনলাইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত কেনাকাটা পছন্দ করছেন। শুধু তাই নয়, টেলিমেডিসিনের পরামর্শ গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন ৩২ শতাংশ মানুষ।
এই সমীক্ষায় এও উঠে এসেছে ভারতের গ্রামীণ ও আধা-গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ তাদের এলাকায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি এও জানা গেছে ক্ষেত্রে বেশ কিছু শাখায় স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের অভাব দেখা যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে কার্ডিওলজি, গাইনোকোলজি এবং পেডিয়াট্রিকের মতো শাখা। এদিকে আবার ক্যান্সার, নিউরোলজিকাল বা ব্লাড ডিসঅর্ডারের মতো স্পেশ্যালিস্ট চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসার জন্য ৯০ শতাংশ রোগীকে নিজের জায়গা ছেড়ে যেতে হয় অন্য জায়গায়।