ভারতে এল করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

কোভিডের থাবা থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না বিশ্ব। চলতি বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশ্বস্ত করে জানিয়েছিল, কোভিডের শেষের শুরু হয়েছে। কিন্তু এই কথাকে মিথ্যে প্রমাণ করে মাথা চাড়া দিয়েছে কোভিড ভাইরাসের আরও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ই.জি.৫.১। সহজ ভাষায় এরিস নামেই পরিচিত এই ভ্যারিয়্যান্ট। সূত্রে খবর, ব্রিটেন কাঁপাচ্ছে কোভিডের এই নতুন সংক্রমণ। পাশাপাশি আমেরিকাতেও ধীরে ধীরে থাবা বিস্তার করছে কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়্যান্ট প্রভাব। শুধু ব্রিটেন বা আমেরিকাই নয়, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে ভারতেও ঢুকে পড়েছে এরিস ভ্যারিয়্যন্ট। গত মে মাসেই মহারাষ্ট্রের পুণেতে ই.জি.৫.১  ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে।

আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ওই কোভিডে আক্রান্ত ওইব্য়ক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। পরে সেই নমুনা বিজে সরকারি মে়ডিক্যাল কলেজে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হলে জানা যায়, এটি করোনার ই.জি.৫.১ বা এরিস ভ্যারিয়্যান্ট। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকেই উৎপত্তি হওয়া এই এরিস ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যখন উদ্বেগ বাড়ছে, সেই সময়েই বিভিন্ন রাজ্যেই ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলছে। চিকিৎসকদের দাবি, এই ভাইরাল জ্বরের উপসর্গ করোনার মতোই। ভাইরাল জ্বর মনে করলেও অনেকেই আসলে নতুন করোনার ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। কর্নাটকে প্রতি তিনটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়িতে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। দিল্লিতেও প্রতি পাঁচটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ির বাসিন্দা এরিস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার প্রথম দুটি ঢেউয়ে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রেও বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে করোনার। প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন করোনার এই নতুন ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২০.৫১ শতাংশ হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রিটেনে গত ২০ জুলাই অবধি যত সংখ্যক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তার মধ্যে ১৪.৫ শতাংশই এরিস ভ্যারিয়েন্টের।

অ্যারিস ভ্যারিয়ান্ট অতি সংক্রামক হলেও এই সংক্রমণ অতটা গুরুতর আকার ধারণ করছে না। বিশেষ করে যারা করোনা টিকাপ্রাপ্ত, তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করছে না।

নতুন এই ভ্যারিয়্যান্ট সম্পর্কে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এর উপসর্গগুলি হল-

জ্বর

সর্দি-কাশি

গা-হাত-পা ব্যাথা

গলা ব্যাথা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 1 =