‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা’,  স্লোগান উঠল তৃণমূলের কনক্লেভ থেকে

‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা’, রবিবার উত্তম মঞ্চে তৃণমূলের কনক্লেভ থেকে এমন স্লোগানই উঠতে দেখলেন বঙ্গ রাজনীতির কারবারিরা। তৃণমূলের পাখির চোখ চব্বিশে লোকসভার লড়াই। দিল্লি জয়ের যুদ্ধ। আর তার প্রস্তুতি চলছে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী দলগুলি তৈরি করেছে ইন্ডিয়া  জোট। তার অন্যতম শরিক তৃণমূলও। ফলে পিছিয়ে নেই বাংলাও। ২০২৪-এ যে বিজেপিকে কেন্দ্রের কুর্সি থেকে উৎখাত করতে চায় বিজেপি বিরোধী এই জোট তার স্পষ্ট বার্তা গেল রবিবার উত্তম মঞ্চে তৃণমূলের কনক্লেভের মঞ্চ থেকে।

রবিবার উত্তম মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘পরের বার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় আর দাড়িওয়ালা লোকটা ভাষণ দেবে না ‘মিত্রোঁ’ বলে। বাংলায় খুন খারাপি, সন্ত্রাসের কথা বলছেন। রাতে শুয়ে শুয়ে বাংলার কথাই ভাবেন। গত দেড় মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেফারেন্স ছাড়া মোদি কোনও বক্তব্য রাখেননি। কারণ, তিনি বিশাস করেন যে তাঁকে পালটে দিতে পারে একমাত্র বাংলার বাঘিনী, যার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ একইসঙ্গে ফিরহাদ এও জানান প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্যতম প্রার্থীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তাঁর মুখে শোনা যায় এই স্লোগান, ‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা।’

এদিনের মঞ্চ থেকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, ‘জোট জমানা শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদার। তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার চাই না। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাই। কিন্তু আপনারা তো ঘরের লোক। এই ব্যানারের উপরে যা লেখা আছে সেটা হতেও পারে। জ্যোতি বসুর নাম যখন উঠল প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য, তখন আপনাদের সাংসদ ক’জন ছিল কমরেড? ২০০? তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারের জন্য এগোবে না। কিন্তু আমরা বিয়াল্লিশে ৪২টা আসন পাওয়ার লক্ষ্যে এগোব?’ এরইরেশ ধরে কুণাল এও জানান, ‘আজকের নতুন প্রজন্ম, যারা রাজনীতিতে এসেছে, সিপিএম জমানায় কলঙ্কিত দিনগুলোর কথা তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। তাঁদের জানানো দরকার, রক্তমাখা ভাত খাইয়েছিল নিরুপম সেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব প্রচার করুক। মরিচঝাঁপি, বিজন সেতুর কথা মনে করিয়ে দিন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, বাসন্তী, নেতাইয়ের গণহত্যা। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ইংরেজি তুলে দিয়েছিল, কম্পিউটার তুলে দিয়েছিল। আর এরা শিক্ষার দুর্নীতির কথা বলে? সিপিএম-কংগ্রেস যদি মনে করে, ওখানে হাতে হাত ধরে বিজেপিকে সরানোর পর এখানে দুই দল তৃণমূলকে পিছন থেকে ছুরি মারবে, তাহলে কিন্তু ভাবতে হবে তাঁদের।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − one =