ব়্যাগিং থেকে বাঁচতে…….

যাদবপুর, ছাত্র মৃত্যু, র‍্যাগিং এই মুহূর্তে সবথেকে আলোচনার বিষয়।যাদবপুরের ঘটনা গোটা বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়েছে৷যত কাণ্ডকারখানা নজরে আসছে ততই দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে বাবা-মায়েদের৷ যাঁদের সন্তান ইতিমধ্যেই বাইরে আছেন, অজানা ভয় কোথাও একটা ভর করছে তাঁদের মনেও।

যাদবপুরের মতো জায়াগায় এমন ঘটনায় মানসিক চাপে যাঁদের উচ্চশিক্ষার খাতিরে কদিন পরেই সন্তানকে বাইরে পাঠাতে হবে। মনের কোথাও একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছেই  ভেবে বুক কাঁপছে কিছু বাবা মায়ের৷ ‘আমার সন্তানকে র‍্যাগিংয়ের নামে মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে হবে না তো-তা ভেবেই। এক্ষেত্রে বাবা-মা হিসেবে ঠিক করণীয় সেক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছেন মনোবিদরা।

প্রথম কথাই হল, বাবা মার ভূমিকা শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই। ছোট থেকেই সন্তানের মনের জোর বাড়ানো দরকার৷ সেইসঙ্গে ‘ভায়োলেন্স’ অর্থাৎ হিংসা মোটেই স্বাভাবিক নয়৷ ছোট থেকেই বোঝাতে হবে সন্তানদের৷ বাড়ি থেকেই শুরু করতে হবে এই শিক্ষা৷’ মা বাবাদের সচেতন হতে হবে সন্তানদের সঙ্গে নিজেদের ব্যবহার নিয়েও৷ পরিবারেও যেন হিংসাত্বক পরিবেশ না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির বড়দের৷

দ্বিতীয়ত, সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো খুব দরকার। সন্তানের মনে যেন এই বিশ্বাস থাকে, যে বাবা-মা পাশে আছেন।একইসঙ্গে বাচ্চার কথা শোনাও খুব জরুরি।

এছাড়াও সন্তানকে যখন বাইরে থাকছে, বাবা মায়ের চোখের আড়ালে তাঁদের কয়েকটি জিনিস শিখিয়ে দেওয়া উচিত৷

সেখানে প্রথমেই ব্যবস্থা করতে হবে স্পিড ডায়ালে সবসময় কারও নম্বর থাকা। কোনও রকম বিপদের ইঙ্গিত বুঝলেই যাতে তাঁরা ত‌ৎক্ষণা‌ৎ বাবা-মাকে জানাতে পারে৷

একইসঙ্গে ছোটবেলা থেকেই শেখানো প্রয়োজন, ভায়োলেন্স স্বাভাবিক নয়। আর তা শেখাতে হবে নিজেদের আচরণের মধ্যে দিয়েই।

শুধু তাই নয়, যেখানে যাচ্ছে সেখানে একটা ‘সাপোর্ট সিস্টেম’-ও গড়ে তোলা দরকার৷

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − fifteen =