সৌরভের ঘরেই চলতো ব়্যাগিং, এমনই তথ্য সামনে এল তদন্তে

ধৃত সৌরভকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের, এমনটাই সূত্রে খবর। এই নয়া তথ্যর মধ্যে রয়েছে  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শুধু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনই নয়, হেনস্থার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখতেন ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। এখানেই শেষ নয়, র‌্যাগিংয়ের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হুমকি দিয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ভৃত্যবৃত্তি করতে বাধ্য করাতেন সিনিয়ররা।তাদের ঘর পরিষ্কার করা, জলের বোতল নিয়ে আসা, খাবার নিয়ে আসার মতো কাজ করতে হত নতুনদের। তবে এই প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পর সৌরভ ও তাঁর সহযোগীরা সেই র‌্যাগিংয়ের ভিডিয়ো মোবাইল থেকে মুছে ফেলেন বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিন পড়ুয়ার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভিডিয়ো মুখে ফেলার তথ্য পাওয়ার জন্য ফোনগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে পড়ুয়াদের এই র‌্যাগিং চলত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ নাকের ডগায় প্রতিনিয়ক কীভাবে এই ঘটনা চলত, সেই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হস্টেলে প্রথম বর্ষের নতুন কোনও পড়ুয়া এলে তাঁদের আলাদাভাবে সৌরভের ঘরে দেখা করার নির্দেশ দেওযা হতো। সেখানেই চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বিবস্ত্র করে ভিডিয়ো তুলে রাখা হতো মোবাইলে। বিভিন্ন ছাত্রের নামে মোবাইলে আলাদা আলাদা ফোল্ডার ছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। নির্যাতনের ভিডিয়ো সংশ্লিষ্ট ছাত্রের নামের ফোল্ডারে রেখে দেওয়া হতো। একইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে যে, হস্টেলে আসা নতুন কোনও পড়ুয়াকে গাঁজা কাটার ‘টাস্ক’ দিত সিনিয়ররা। না পারলে চলত অকথ্য গালিগালাজ। এমনকী যেসব পড়ুয়ারা কোনও নেশা করতেন না তাঁদের জোর করে মদ ও গাঁজা খাওয়ানো হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাক্তন সৌরভের হস্টেলের থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কী তথ্য ছিল, তা জানতে পুলিশের তরফে পাঠানো হচ্ছে চিঠি।এখন তদন্তে আরও নতুন কোনও দিক উন্মোচিত হয় কি না এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − five =