যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়া রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক প্রাক্তনী ও দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে র্যাগিংয়ের তত্ত্ব। এরই মধ্যে আরও ৬ ছাত্রকে তলব করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনও ওই পডুয়াদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে সবথেকে বেশি আলোটনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর পর উদ্ধার ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠি। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, জোর করে স্বপ্নদীপকে দিয়েই লেখানো হয়েছিল ওই চিঠি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের ভিতরে এই চিঠি লেখানোর সময় ধৃত সৌরভ, দীপশেখর, মনোতোষসহ আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। একাধিক ব্যক্তিকে এই ঘটনায় এমন সিদ্ধান্তই পৌঁছাতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। আর সেই কারণেই তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সৌরভ ছাড়াও তদন্তে আরও এক প্রাক্তনীর নাম উঠে এসেছে। বুধবারের ঘটনায় তাঁর ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই প্রাক্তনী সৌরভের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। সে ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাসআউট হয়ে যাওয়ার পর এই প্রাক্তনী ওই হস্টেলে কীভাবে ছিলেন বা তিনি সৌরভের মতো হস্টেলে থাকতেন কি না, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাল মেইন তিন তলা থেকে পড়ে সাংঘাতিক আঘাত পান স্বপ্নদীপ। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মারা যান নদিয়ার ওই ছাত্র। তবে তাঁর এই তিন থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে সামনে চলে আসে ব়্যাগিং তত্ত্ব। তবে এই মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় সারা রাজ্যও।