ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইউজিসি-কে রিপোর্ট পাঠাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী বুধবার ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে ইউজিসি। রাজ্যে অ্যান্টি র্যাগিং টিম পাঠানোর আগেই সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল। সেইমত সোমবার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে এই চার দিনে তারা কী কী পদক্ষেপ করেছে, তারও উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ইউজিসি-কে পাঠানো রিপোর্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, বুধবার রাতের ওই ঘটনার পর আহত ছাত্রকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার চিকিৎসারও বন্দোবস্ত করা হয়। সঙ্গে পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হয়। কীভাবে পড়ুয়া হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে গেল, এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে, তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই ঘটনার পর নতুন ছাত্রদের হস্টেল থেকে সরিয়ে অন্য একটি হস্টেলে রাখা হয়েছে। বাকি পড়ুয়ারা যাতে আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন, সেদিকটি মাথায় রেখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে প্রথম বর্ষে যেসমস্ত পড়ুয়ারা নতুন ভর্তি হয় তাঁদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য মেন্টর নিয়োগ করা হয়। তাঁদের যে কোনও সমস্যার কথা মেন্টরকে জানাতে পারে। ইউজিসিকে দেওয়া রিপোর্টে মেন্টরদের নাম উল্লেখ করেছেন কর্তৃপক্ষ। আগামী বুধবার রাজ্যে আসবে ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং টিম। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যুর পর র্যাগিং তত্ত্ব উঠে এসেছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখবে তারা। ইতিমধ্যেই যাদবপুর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কিন্তু প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে ইউজিসির তরফ থেকে।