পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারীরা সাধারণত বাড়িতে গমের রুটি খেতেই অভ্য়স্ত। তবে এই রাজ্য ছেড়ে যত উত্তরে দিকে যাবেন তত এই রুটি তৈরির উপাদানের বৈচিত্র্য আপানার চোখে পড়বে। কোথাও জোয়ার আবার কোথাও বা বা বাজরার রুটি আপনি পাবেন। পশ্চিমবঙ্গেও য মেলে না তা নয়। তবে সেটা জেলা বিশেষে। তবে আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হল গোন্দলি চালের রুটির কথা। এটি ভারতের আদিবাসীদের অন্যতম প্রধান খাবার।
আজকাল অনেকেই এই গোন্দলি চালের রুটি খেতে শুরু করেছেন, অনেকেই এর স্বাদ ও গন্ধে মুগ্ধও হয়েছেন। তাই বাড়িতে এই রুটি বানিয়ে কীভাবে খেতে হয় সেটাই আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়।
গোন্দলি চাল ঝাড়খণ্ড জুড়েই পাওয়া যায়। প্রথমে চাল ভাল করে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর পরদিন সকালে এটি পিষে এর মণ্ড তৈরি করা হয়। এতে বিশেষ কোনও মশলা বা সবজি যোগ করা হয় না। তবে স্বাদ অনুযায়ী সামান্য লবণ ব্যবহার করা যেতেই পারে।
এরপর একটি গরম মাটির পাত্রে চালের মণ্ড ঢেলে রুটির আকারে ছড়িয়ে দিতে হয়। রুটি ফুলে উঠতে শুরু করলে এতে এক চামচ সূর্যমুখী তেল ছড়িয়ে দিতে হবে। সূর্যমুখী তেলের স্বাদ যেমন বাকি তেলের থেকে অনেক আলাদা তেমনই উপকারীও বটে। ১৫ মিনিটের জন্য রুটি ঢেকে রেখে পাত্রের ঢাকনা সরিয়ে আলাদা প্লেটে তুলে নিতে হবে। খাওয়ার সময় এতে আধ চা চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
যাঁরা ওজন কমাতে চান বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে চান তাঁরা এই রুটি খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে। যেহেতু এতে মধু ব্যবহার করা হয় তাই সুগারের রোগীরাও সহজেই খেতে পারেন।
পুষ্টিবিদরাও জানাচ্ছেন গোন্দলি চাল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই ভাতে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, ভিটামিন বি১ এবং উচ্চ পরিমাণে ফাইবার এবং খুব কম ক্যালোরি থাকে। এর কারণে এটি ওজন কমাতে বা ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে অত্যন্ত ভাল একটি বিকল্প হতে পারে।