দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এবার জার্মান টাচ। জার্মানি থেকে বিশেষজ্ঞ আনিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে কলকাতার এই সেতুর। সূত্রে খবর, পুজোর আগেই এই সেতুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে।এ নিয়ে নবান্ন দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ সংস্কারের কাজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়। এখনও পর্যন্ত ব্রিজ মেরামতির জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। সেই টাকা বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী পূর্ত দফতর, এইচআরবিসি, আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ব্রিজ মেরামতির সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ একটা বড় মাথাব্যথা কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের কাজে। সেই ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কোনদিকে যান চলাচলের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। হুগলির দুই পাড়ের বাসিন্দাদের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম এই দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ। তাছাড়াও রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত মন্ত্রী, আধিকারিকদের এই ব্রিজ ব্যাবহার করতে হয় নবান্ন পৌঁছনোর জন্য। সারাদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে এই ব্রিজ দিয়ে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর জন্মলগ্নে এই ঝুলন্ত সেতুর নক্সা তৈরি করেছিলেন জার্মান কারিগরি সংস্থা শ্লায়েশ বার্জারম্যান পার্টনার। জার্মানি কারিগরিতে কলকাতা শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় ব্রিজ হয়ে ওঠে এটি। সেই কারণে ব্রিজ সংস্কারের জন্য ফের জার্মান বিশেষজ্ঞ দলের শরণাপন্ন হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এইচআরবিসি।
জানা গিয়েছে, জার্মান বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসা হচ্ছে সেতুর মেরামতির জন্য। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ মোট ১২১টি কেবলের ফ্যান অ্যারেঞ্জমেন্টের উপর দাঁড়িয়ে আছে। সেই কেবলগুলির মধ্যে কয়েকটি কেবলের অবস্থা খারাপ হয়েছে। সেগুলিকে মেরামত করার জন্য আনা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ। জার্মান থেকে ইতিমধ্যেই সংস্কারের কাজের জন্য সামগ্রী আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আমলে এই ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়। এত বছর ধরে আলাদা করে এই ব্রিজের মেরামতির ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রায় ৩২ বছর ধরে দুই শহরের অন্যতম যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে এই দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ।