হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পার্শ্ব শিক্ষকের জন্য আলাদা পদ থাকে। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের নয়া নির্দেশে, এই পদগুলির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্শ্ব শিক্ষকদের কোটার পদগুলিতে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। পরবর্তীতে একক বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে। এরপর বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দেয় একক বেঞ্চের নির্দেশ।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে ২০২২-এ এই সংক্রান্ত নির্দেশে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগে প্যারা টিচার ক্যাটেগরির সুবিধা পাবেন উচ্চপ্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরাও। ফলে প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যারা টিচার ক্যাটেগরির সুবিধা প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষক ও উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা উভয়েই পেয়ে যাচ্ছিলেন। এরপরই একক বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। বুধবার এই মামলায় একক বেঞ্চের নির্দেশকে খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ব্যাখ্যা, দুটি আলাদা প্রক্রিয়া, সেই কারণে আগের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও কিছুদিন আগেই একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোন স্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা কোন স্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন, তা নিয়ে এই নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, কেবল ডিএলএড প্রশিক্ষিতরাই প্রাথমিকের শিক্ষাদান করতে পারবেন। বিএড প্রশিক্ষিতরা প্রাথমিকে শিক্ষাদান করতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষক সংক্রান্ত এই নির্দেশে কার্যতই হতাশ উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকেরা।