ফের রিপোর্ট তলব ইউজিসির

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অর্থাৎ ইউজিসি। ইউজিসির এই নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্টও পাঠিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তা প্রাথমিকভাবে ‘সন্তোষজনক’ বলে দাবি করেছিলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। এদিকে বুধবার ক্যাম্পাসে ইউজিসি প্রতিনিধিদলের আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেউই আসেননি।তবে তদন্ত যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে ডিন অফ স্টুডেন্টসের ভূমিকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বড়সড় এক প্রশ্নচিহ্ন।। আর সেই কারণেই সম্ভবত এই ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় নতুন করে রিপোর্ট তলব করল ইউজিসি। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে কর্তৃপক্ষকে ই-মেল করা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হয়েই লালবাজার থেকে ফোন পেয়ে হাজিরা দিতে যেতে দেখা যায় ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে।

কারণ, বুধবার দুপুরে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ডিন রজত রায়কে ঘেরাও করে। সেই কারণে লালবাজারে যেতে পারেননি তিনি। এরপর প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর, বৃহস্পতিবার ডিন ঘেরাওমুক্ত হন। আর তারপরই তাঁকে লালবাজার থেকে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয় বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে ইউজিসি আরও কড়া পদক্ষেপ নেওযা হয়। সূত্রে খবর মিলছে ১২টি প্রশ্নপত্র ই-মেল করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এবার সন্তোষজনক জবাব না পেলে ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেবে ইউজিসি।

এদিকে বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে তাঁদের ভূমিকা তো খতিয়ে দেখাই হচ্ছে। তবে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। বলা হচ্ছে, ওইদিন মেন হস্টেলে ওই ছাত্রের উপর সিনিয়ররা মজার ছলে অত্যাচার করছে দেখে এক ছাত্র ডিনকে সব জানিয়েছিলেন। ডিন হস্টেল সুপারকে ফোনও করেছিলেন। কিন্তু তারপরও তাঁরা কেন যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী অভিযোগ উঠেছে, বাংলার প্রথম বর্ষের নিহত ওই ছাত্রের মৃত্যুর পরও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরপর জেনারেল বডি মিটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই জিপবিএম কেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও যে উত্তর মিলছে তা মোটেই সন্তোষজনক নয়। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, ১৫ অগাস্ট এক ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়েই নাকি ছিল এই জিবিএম। এই প্রসঙ্গেই তদন্তকারীরা মনে করছেন, এত গুরুতর সব অভিযোগের পর ডিন-অফ- স্টুডেন্টসকে  জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। সেই কারণে বুধবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল লালবাজারের তরফ থেকে। তবে সেদিন লালবাজারে হাজির হতে পারেননি যাদবপুরের ডিন-অফ- স্টুডেন্টস।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =