লালবাজারে হাজিরা দিলেন ডিন-অফ-স্টুডেন্টস, ডাকা হতে পারে হস্টেল সুপারকেও

ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন-অফ-সুডেন্টস রজত রায়কে তলব করেছিল লালবাজার। সূত্রে খবর, বুধবার গিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার। এদিকে ছাত্র বিক্ষোভে জেরে যেতে পারেননি রজত রায়। তবে বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি যান লালবাজারে।সূত্রে যা খবর মিলছে, তাতে ডিন অফ স্টুডেন্টের কাছে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন লালবাজারের গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। মূলত, ক্যাম্পাসে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি আছে কি না তাঁর কাছ থেকে জানতে চান গোয়েন্দারা। ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাজ কী, তাঁর ভূমিকা কী সে সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা আছে কি না, হস্টেল সুপারের ভূমিকা কী, ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে কী হয়েছিল সে সম্পর্কেও ডিন- অফ – স্টুডেন্টসের কাছে বিশদে জানতে চাওয়া হয় বলে খবর।

প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন রাতে ডিন অফ স্টুডেন্টেসের কাছেও গিয়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, ফোন করেছিলেন হস্টেলের আবাসিকরাই। এমনকী ডিনকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠি নিয়েও বেড়েছে ধোঁয়াশা। সেই চিঠিতে আবার এসএফআইয়ের এক কর্মী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার নাম মেলে। চিঠিতে সই ছিল মৃত ওই পড়ুয়ার। তারিখ দেওয়া হয়েছিল ১০ অগাস্টে। এদিকে ওই ছাত্রের তিন তলা থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে ঘটনা ঘটে ৯ তারিখ রাতে। এদিকে মৃত ছাত্রের বাবা, মামাও দাবি করেছেন ওই চিঠি তাঁদের ছেলের লেখা নয়। এদিকে ঘটনার সময় আবার ডিনকে ফোনে যে কথা বলা হয়েছিল সেই কথার সঙ্গে চিঠির বয়ানের মিল রয়েছে বলে খবর। এখান থেকে সামনে এসেছে চক্রান্তের তত্ত্বও। এদিন ডিনের বক্তব্য শুনে সে রহস্যও ভেদ করতে চান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ডিন জানিয়েছেন, ওই দিন রাত ১০টা ৫ নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয় একটি ছেলের রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনি দেখুন। ডিন বলেন, পরের দিন কথা বলব। উনি সেই নম্বর ট্রু কলারে দিয়ে নাম দেখেন। সুপারের থেকে জানতে চান এই নামে কোনও ছাত্র আছে কি না জানাতে। সূত্রের খবর, ডিনের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যাননি সুপার, এমনটাই জানিয়েছেন ডিন-অফ- স্টুডেন্টস। এরপর রাত ১২.০৮ নাগাদ সুপার ডিনকে ফোনে জানান, একটি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ডিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ মনে করছে ছাত্ররা পুলিশকে যে বক্তব্য দিয়েছিল ফোন নিয়ে তা বিভ্রান্তিকর। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সুপারকে বলা হয় এক ছাত্র অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এখানেও তদন্তের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে আরও এক বিভ্রান্তি। সূত্রের খবর, তদন্তের প্রয়োজনে এবার প্রয়োজনে হস্টেল সুপার কেও ডাকা হতে পারে। ফের প্রয়োজন হলে  ডিনকেও ডাকতে পারে লালবাজারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =