এক বছর কেটে গেলেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চাইলেও জামিন পাচ্ছেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও জেলবন্দি তিনি। মাঝে বেশ কয়েকবার নানাররকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে বারবারই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদন করতেও দেখা গেছে তাঁর আইনজীবীকে। এবার আদালতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে নজিরবিহীন দাবি করে বসলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলে রীতিমতো অ্যাসিসট্যান্ট চেয়ে এবার বিচারপতির কাছে আর্জি জানালেন জানাতে দেখা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সওয়াল, ‘আমার শরীর ভাল যাচ্ছে না, অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকলে ভাল হয়।’ তাঁর কথায়, ‘দিনের পর দিন শরীর খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে। জেলে যদি একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দেওয়া যায়।’ বিচারক উত্তরে বলেন, ‘সেটা জেল ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনি বলে দিলে হয়ে যাবে।’ একইসঙ্গে পার্থ এও জানান, ‘বাগ কমিটির রিপোর্ট দুই কোর্টই মেনেছে। এরা তা ফলো করছে না কেন?’ উত্তরে বিচারক বলেন, ‘সেটা এখন বলে কী হবে।’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগামী ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে বৃহস্পতিবার আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এদিন এসএসসি নিয়োগ মামলায় জানায়, নাকতলার বাড়িতে বসেই লিস্ট বা তালিকা তৈরি করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে বৃহস্পতিবার এমনই দাবি জানাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে কাকে কাকে চাকরি দিতে হবে তার তালিকা তৈরি হয়েছিল খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতার বাড়ি থেকেই। তালিকায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে। আদালতে এই দাবি করল সিবিআই। তাঁদের দাবি, অবাধে দুর্নীতি করতে নিজের পছন্দের লোকদের বিভিন্ন পদে বসিয়েছিলেন পার্থ।