বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় হাজির হতে দেকা গেল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের। আগের থেকে বলে কয়ে নয়, একেবারে আচমকাই হাজির হন তাঁরা। এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। কিন্তু কী বিষয়ে কথা হল, তা নিয়েই মুখে কুলুপ বিধানসভার স্পিকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদেরও।
এদিকে সূত্রে যা খবর মিলছে তাতে জেলবন্দি বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সম্পর্কে কথাবার্তা বলতেই বিধানসভায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কারণ, সাধারণত কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গেলে, অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হয়। তাই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিধানসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে গেলে অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার জন্যই তদন্তকারীরা গিয়ে থাকতে পারেন। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শিক্ষা দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জীবনকৃষ্ণ সম্পর্কে কিছু তথ্যের প্রয়োজনীয়তা ছিল। সে কারণেই স্পিকারের সঙ্গে এই সাক্ষাৎবলেই ধারনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
বিধানসভা সূত্রে খবর,শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ইডি অফিসার হিসেবে পরিচয় পত্র দেখিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন প্রতিনিধিরা। স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যান। এ ব্যাপারে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কোনও কথা বলব না এ ব্যাপারে। কে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে না আসবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। ইডি না সিবিআই কারা এসেছিল, সে ব্যাপারেও মুখ খুলতে চাননি তিনি।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর মোবাইল পরীক্ষা করার পর একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই বিধায়কের তদন্ত এগোচ্ছে বলে সূত্রের খবর।