এবার যাদবপুর নিয়ে সংঘাতের পথে রাজ্য-রাজ্যপাল। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছে রাজ্য। এবার যাদবপুরে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে রাজ্য। আর সে প্রশ্ন উঠতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। কারণ, নবান্নের বক্তব্য, রাজ্যপাল যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা বৈধ নয়। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন আচার্য। যদিও কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এরপর রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়।
সূত্রে খবর, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। সেখানেই যাদবপুর নিয়ে বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে রাজ্য। আবার একইদিন কলকাতা হাইকোর্টে যাদবপুর নিয়ে দায়ের হওয়া দু’টি মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
প্রসঙ্গত, এতদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে উপাচার্য পদ ফাঁকা ছিল। মাঝে একজনকে দায়িত্বে বসিয়েছিলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। পরে তিনি নিজেই তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপর আর কাউকে বসাননি সেই পদে। এরইমধ্যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। এক ছাত্রের হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যুর পর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে যে গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তার অন্যতম উপাচার্য পদ ফাঁকা থাকা। এ নিয়ে আচার্যর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই আবহেই শনিবার রাতে আচার্য সিভি আনন্দ বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে। তাঁর নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এবার প্রশ্ন তুলতে পারে রাজ্য।