মে মাসে বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই সিদ্ধান্তের ঠিক এক মাস পর দেশের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই ২০০০ টাকার নোট সরিয়ে ফেলার প্রসঙ্গে জানাল, ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুসারে এই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার জন্য সদর্থক পদক্ষেপ।
এই প্রসঙ্গে এসবিআই -এর তরফ থেকে যে সমীক্ষা চালানো হয় তাতে দেখা যাচ্ছে,১,৫ লাখ কোটি টাকার ২০০০টাকার নোট ব্যাঙ্কগুলিতে ফেরত এসেছে। যার ফলে ব্যাঙ্কে ডিপোজিট ও ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে। এর পাশাপাশি ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার বাড়বে বলে মনে করছে এসবিআই। এই সমীক্ষায় এসবিআইয়ের তরফ থেকে এও দাবি করা হয়েছে, ২০০০টাকার নোট প্রত্যাহার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আমানত বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে ক্রেডিট রেশিও ডিপোজিটও বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অর্থনীতিকে প্রাক কোভিড স্তরে পৌঁছে দিয়েছে।
সমীক্ষায় এও দাবি করা হয়েছে যে, গোলাপি নোট সরানোর এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাঙ্কে ডিপোজিট ও লোন পরিশোধ বাড়তে পারে। একইসঙ্গে এরফলে এরফলে সার্বিক ভাবেও আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এসবিআই -এর সমীক্ষা বলেছে, বৈদেশিক বাজারে অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ব্যাঙ্কগুলি কোম্পানিগুলোর ঋণের চাহিদা মেটাতে বিশাল সুযোগ পাবে। ব্যাঙ্কগুলোতে কোম্পানিগুলোর তরফে মোটা টাকা জমা করা হয়েছে। বেশিরভাগ অর্থই ব্যাঙ্কে ডিপোজিট আকারে জমা হয়েছে।
এদিকে গত ৮ জুন, আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, প্রায় ১.৮ লাখ কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট সিস্টেমে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি এও জানান,২৩ মার্চ পর্যন্ত বাজারে ৩.৬২ লাখ কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট প্রচলিত ছিল।
এদিকে এসবিআই-এর সমীক্ষা এও জানাচ্ছে, ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি বেড়ে গিয়েছে। ফুড ডেলিভারি অ্যাপ হোক বা ই-কমার্স, সব জায়গায় নগদ লেনদেনও বেড়েছে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা।
একইসঙ্গে সমীক্ষায় এও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ২০০০টাকার নোট প্রত্যাহারের কারণে দেশের জিডিপিও এই বছর উপকৃত হতে পারে। পাশাপাশি এসবিআই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার নগদে কোনও বড় প্রভাব ফেলবে না।