মাটিগাড়া ধর্ষণকাণ্ডে অপরাধীদের শাস্তি নিয়ে বিস্ফোরক এক বক্তব্য করে বসতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা দোষীদের শাস্তি চেয়ে শোরগোল শুরু করেন, এমনটাই খবর।এদিকে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গটি বিধানসভা অধিবেশনে উল্লেখ করেন। কিন্তু তা সংগত না বলে মনে করে মাইক বন্ধ করে দেওযার পরই প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় স্লোগান তুলতে থাকেন। একটু পরই অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। এরপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্ষুব্ধ হয়ে জানান, ‘আমরা মনে করি, দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথের মতো এনকাউন্টার করে দেওয়া উচিত। এদের সমাজে থাকাই উচিত নয়। এরা সব ঘৃণিত জীব, পাষণ্ড।’ এরই পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘মাটিগাড়ায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যারা দোষী, তাদের তো গ্রেপ্তার করা হয়ইনি। উলটে আমরা সেই দাবি জানাতে থানায় গেলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শুধু নারী নিরাপত্তা দিতেই ব্যর্থ, তা নয়। শিশুদেরও রক্ষা করতে পারে না। শৈশব চলে যাচ্ছে এভাবে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে স্কুলড্রেস পরা অবস্থায় ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়। জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাড়ি থাপড়াইল এলাকায়। স্কুল ছুটির পর হাঁটা পথেই ওই ফাঁকা জায়গায় পৌঁছেছিল নাবালিকা। সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত যুবক। পুলিশে অনুমান, কোনওভাবে ঝোপ-জঙ্গলে ভরা ঘরে নাবালিকাকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপরই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। নাবালিকা বাধা দেওয়ায় রাগের মাথায় ঘরে পড়ে থাকা ইট দিয়ে নাবালিকার মাথা থেঁতলে দেয় অভিযুক্ত। এরপর ৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধরা পড়ে লেনিন কলোনির বাসিন্দা অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাস। তা নিয়েই তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে মাটিগাড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ বিজেপি নেতা, কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। তার বিরোধিতাতেই বিধানসভায় এদিন ওয়াকআউট করে বেরিয়ে বিধানসভার বাইরে ‘হায় হায়’ স্লোগান তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।