‘ব়্যাগিংমুক্ত হোক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়’, এই দাবিতে শুক্রবার মিছিল করা হয় এবিভিপি-র তরফ থেকে। গোলপার্ক থেকে যাদবপুর 8 বি পর্যন্ত র্যাগিংয়ের প্রতিবাদে মিছিল কর্মসূচি ছিল এবিভিপি-র। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এই মিছিল ঘিরে শুক্রবার শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর থানা সংলগ্ন এলাকা। এদিনের এই মিছিলে প্রথমেই দফায় দফায় পুলিশি বাধায় পড়তে হয় এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের। ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশও লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায়। উত্তেজনার পারদ চড়তে চড়তে এরপর সেখান থেকেই তা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। এরপরই পুলিশকে দেখা যায় রীতিমতো চ্যাংদোলা করে এবিভিপি- কর্মীদের মিছিল থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতেও।
এদিকে সূত্রে খবর, প্রথম থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল শুরু হয় গোলপার্ক থেকে। মিছিলের শুরুতে পথ আটকায় পুলিশ। তখনই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তখন বাকি বিক্ষোভকারীরা দৌড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে এগোতে থাকেন। এদি কেমিছিল যখন যাদবপুর থানার সামনে পৌঁছয়, তখন সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। যাদবপুর থানার মোড়ে আবারও পুলিশি বাধার মুখে পড়ে মিছিল।
তবে এদিনের মিছিলে কিন্তু ফের প্রকাশ্যে এল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। শুক্রবারের মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে সেই মিছিলেই দেখা গেল না রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও যোগ দেননি মিছিলে। সূত্রের খবর, আগে থেকে ভালভাবে দলীয় কর্মসূচির কথা জানানোই হয়নি তাঁকে। তাই এদিনের মিছিলে অংশ নেননি তিনি। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের চোকে সামগ্রিক ভাবে এদিনের রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বাধীন মিছিল সেভাবে সাফল্য পায়নি।
এদিনের মিছিল থেকে ‘এসএফআইওয়ালো কো জুতো মারো’ স্লোগানও ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে জুতো উঁচিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। তা প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে পুলিশ। এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে বার্তা দেওয়াহয়, বিজেপি যুব মোর্চার মিছিল থেকে দেওয়া এই স্লোগানকে সমর্থন করে না তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, ‘ব়্যাগিংকে সমর্থন করে না তৃণমূল। তার তদন্ত চলছে। তবে বিজেপির এই ধরনের স্লোগানকে সমর্থন করি না আমরা।’ বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ তাঁর।