মৃত্যুকালীন জবানবন্দি চূড়ান্ত নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

মৃত্যুকালীন জবানবন্দিই অপরাধ সাব্যস্ত করার জন্য চূড়ান্ত নয়।শুক্রবার এক ব্যক্তির নিজের সন্তান এবং দুই ভাইকে পুড়িয়ে মারার ব্যাপারে রায় দিতে গিয়েএমনটাই জানাল দেশের শীর্ষ আদালত।বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কে মিশ্রকে নিয়ে গড়া তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন জানায়,ডাইয়িং ডিক্লারেশন বা মৃত্যুকালীন জবানবন্দির সঙ্গে সাপোর্টিং এভিডেন্স না থাকলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘মৃত্যুকালীন জবানবন্দি যখন নেওয়া হয়, তখন তাকে সাধারণ ভাবে সত্যি ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু সেটা সত্যিই তাই কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি দেখা যায়, সামান্যতম সংশয়েরও জায়গা রয়েছে বা পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে ওই জবানবন্দি সত্যি ছিল না, তা হলে সেটাকে শুধু একটি সাক্ষ্য হিসেবেই ধরা হয়, কিন্তু অপরাধ সাব্যস্ত করার চূড়ান্ত ভিত্তি হিসেবে নয়।’ প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ আদালত এর আগেও একাধিকবার বলেছিল, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিই চূড়ান্ত নয়।

আদালত সূত্রে খবর, এদিন যে মামলার শুনানি হচ্ছিল, তাতে অপরাধী তার সন্তান ও দুই ভাইকে পুড়িয়ে মারে। তাঁদের মধ্যে একজন মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে এ কথা জানান। তার ভিত্তিতেই তদন্ত হয় ও অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই রায় বহাল রাখে। তার পর অপরাধী শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মৃত্যুদণ্ড রোধ করার আর্জি নিয়ে। সেই মামলাতেই কোর্ট এমনটাই জানায়। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত এও জানায়, তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নয়। কারণ সন্দেহাতীত ভাবে অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি। অপরাধীর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, ‘৮০ শতাংশ বার্ন ইনজুরি নিয়ে একজন ডাইয়িং ডিক্লারেশন দেন, তাঁর মানসিক স্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =